লালমনিরহাট : জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অনার্স প্রথমবর্ষের পরীক্ষা দিয়েছিল তারা। পরীক্ষা দিয়ে সবাই বলেছিলেন, ভালো হয়েছে। কিন্তু পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর সবাই ফেল।
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার উত্তর বাংলা কলেজ থেকে বাংলা বিভাগের ৪৫ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেন।
তারা কেউই বলেননি পরীক্ষা খারাপ হয়েছে। এরপরও ফলাফলে পাসের তালিকায় তাদের কারো নাম নেই।
বৃহস্পতিবার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে এ ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে নিজেদের নাম না দেখে হতবাক হন শিক্ষার্থীরা। অনেকে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
জানা গেছে, গত ৬ ফেব্রুয়ারি লালমনিরহাট সরকারি কলেজ কেন্দ্রে বাংলা ভাষার ইতিহাস ও ব্যবহারিক বাংলা বিষয়ের পরীক্ষা হয়। এতে উত্তর বাংলা কলেজের ৪৫ শিক্ষার্থী অংশ নেন।
ফলাফলে তাদের বাংলা ভাষার ইতিহাস ও ব্যবহারিক বাংলা বিষয়ে অনুপস্থিত দেখানো হয়েছে অর্থাৎ সবাই অকৃতকার্য হয়েছেন।
এমন ফলাফলে শুধু শিক্ষার্থীরাই নন, হতবাক তাদের অভিভাবক ও শিক্ষকরাও।
কলেজের বাংলা বিভাগের অনার্স প্রথমবর্ষের শিক্ষার্থীরা জানান, তারা লালমনিরহাট সরকারি কলেজ কেন্দ্রে গিয়ে সবাই পরীক্ষা দিয়েছেন। পরীক্ষাও ভালো হয়েছে। বলা হচ্ছে, তারা নাকি পরীক্ষা-ই দেননি।
বিষয়টি খতিয়ে দেখে দ্রুত সংশোধিত ফলাফল প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা।
উত্তর বাংলা কলেজের বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান আবু শাহাদাত রুবেল বলেন, কেন্দ্র থেকে বা পরীক্ষার্থীদের হাজিরাপত্র জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠানো হয়নি। এজন্য সবাইকে অনুপস্থিত দেখানো হয়েছে।
তিনি বলেন, সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে। পরীক্ষার কেন্দ্র থেকে পরীক্ষার্থীদের হাজিরাপত্র জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছানো হলে সংশোধিত ফলাফল প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন তারা।
কলেজের অধ্যক্ষ মনোয়ার হোসেন জানান, সংশোধনী ফলাফলের জন্য শনিবার কেন্দ্র থেকে হাজিরাপত্র সংগ্রহ করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠানো হবে। সংশোধনী ফলাফল পেতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ধৈর্য ধরার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
৫ আগস্ট,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এমআর/এসএম