মাগুরা থেকে : চট্টগ্রামের বহুল আলোচিত মিতু হত্যাকাণ্ডে তার স্বামী সাবেক এসপি বাবুল আক্তারকে জড়িয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত পরকীয়া সম্পর্কের কথা অস্বীকার করেছেন বনানী বিনতে বসির বর্ণি। দেশের দুটি জাতীয় পত্রিকায় বাবুল আক্তার ও তাকে জড়িয়ে প্রকাশিত রিপোর্টের প্রতিক্রিয়ায় মঙ্গলবার বিকেলে মাগুরা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
বর্ণি অভিযোগ করেন, তার শ্বশুরবাড়ির সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করা ও ঢাকার মগবাজারে তার মেয়ে আনিশার নামে কেনা তার স্বামীর ফ্লাট দখল করতেই ননদরা এ মিথ্যা অভিযোগ তুলেছেন। ২০১৫ সালে ১৩ জানুয়ারি তার স্বামী সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হবার পর ননদ জান্নাত আরা রিমি তার ফুফাতো ভাইকে জড়িয়ে পরকীয়ার অভিযোগ আনেন। এ সময় তিনি মাগুরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে সেটির প্রতিবাদ জানান। এখন বাবুল আক্তারকে জড়িয়ে একই ধরনের পরকীয়ার অভিযোগ আনছে তার ননদ জান্নাত আরা রিমি। যেটি সম্পূর্ণ কাল্পনিক ও মিথ্যা।
তিনি বলেন, আমি মাগুরার রবি অফিসে সার্ভিস প্রোভাইডার হিসাবে কাজ করি ঠিকই। কিন্তু কখনোই বাবুল আক্তারের মাগুরার বাসাই থাকিনি। আমি বাবার বাড়ি ঝিনাইদাহ থেকে এখানে অফিস করি। বাবা বসির উদ্দিন এখনো মাগুরার মোহাম্মদপুরের পল্লি দারিদ্র বিমোচন ফাউন্ডেশনে কর্মরত।
এ সময় উপস্থিত বর্ণির মা শিরিনা বসির বলেন, আমার জামাই আকারাম হোসেনের মৃত্যুর পর তার বোন জান্নাত নানা ভাবে আমাদের হয়রানী করছে। আগে ফুফাতো ভাই সাদিমুল ইসলাম মুনকে জড়িয়ে নানা কুৎসা রটায়। এখন বাবুল আক্তার যাবে কোনো দিন আমি দেখিনি তাকে জড়াচ্ছে। জান্নাতের ষড়যন্ত্রের কারণে এখনো পুলিশ বিভাগে স্বামীর প্রাপ্য টাকা পায়নি। এখন মেয়ে আনিশার মুখের দিকে তাকিয়ে চাকরি করে বেঁচে আছে সেটি যাবার উপক্রম হয়েছে।
এ বিষয়ে বাবুল আক্তারের ছোট ভাই মাগুরার আইনজীবী অ্যাডভোকেট হাবিবুর রহমান লাবু বলেন, ‘বর্ণি নামের কোন মেয়ে আমাদের বাসায় থাকেননি। আমরা তাকে চিনি না। পত্রিকা পড়ে এ বিষয়টি প্রথম জেনেছি। এ বিষয়ে আমরা প্রকাশিত পত্রিকায় লিগ্যাল নোটিশ দিয়েছি। ’
এ ব্যাপারে মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তরিকুল ইসলাম বলেন, পত্রিকার রিপোর্ট দেখেছি। এ বিষয়ে এখনো পর্যন্ত আমাদের দাপ্তরিক কোন নির্দেশনা আসেনি।
০৭ ফেব্রুয়ারি,২০১৭/এমটিনিউজ২৪/এসএস