মৌলভীবাজার : মৌলভীবাজার-২ (কুলাউড়া) আসনে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ বলেছেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মাধ্যমে আমাকে এই এলাকায় পাঠানো হয়েছে। যতদিন বেঁচে থাকবো ঘুষ না দিয়ে আর ঘুষ না খেয়ে কতদূর যাওয়া যায় আমি দেখতে চাই। আমরা বঙ্গবন্ধুর কর্মী। আমরা মুক্তি সংগ্রামের কর্মী। বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে বীর উত্তম মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান ২৭ মার্চ কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন।
সোমবার কুলাউড়ার ডাকবাংলোতে নির্বাচনী জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সুলতান মনসুর বলেন,বঙ্গবন্ধুর পিঠের চামড়া দিয়ে ডুগডুগি বাজাতে চাওয়া সেই তেলকন্যা এখন বর্তমান সরকারে। যে বঙ্গবন্ধুকে হিটলার বলে গালি দিতো সেই সমাজতান্ত্রিক নেতা এখন মন্ত্রী হিসেবে এই সরকারে আছে। বঙ্গবন্ধুর হত্যার পর যে ব্যক্তি ট্যাংকের ওপর উঠে উল্লাস করেছিলেন তিনি এখন মন্ত্রিসভায়। এই সরকার লুটেরার সরকার। কিছু সুবিধাবাদী, কালোবাজারি, টাকাওয়ালা, ভণ্ড, দরবেশ এই সরকারে আছে। এই সরকারের পরিবর্তন প্রয়োজন।
তিনি আরও বলেন, কুলাউড়ার মানুষ ১২ বছর যাবত আমার সেবা থেকে বঞ্চিত হয়েছে। ২০০৮ সালের নির্বাচনে কুলাউড়া আওয়ামী লীগ এককভাবে আমার নাম দিয়েছিল। কিন্তু আপনারা যানেন এক অদৃশ্য শক্তি এবং বাংলাদেশে আজ লুটপাট যারা করছে, গোষ্ঠীতন্ত্র ও ব্যক্তিস্বার্থ যারা কায়েম করতে চায় তারাই কুলাউড়ার এই মানুষদের আমার সেবা থেকে বঞ্চিত করেছে।
সুলতান মনসুর বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে। বঙ্গবন্ধু স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি। উনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ সংগঠিত হয়েছিল। বাংলাদেশের সংবিধান যদি কেউ মানেন তবে এই সত্যগুলোকে অস্বীকার করতে পারবেন না। জেনারেল আতাউল গনি ওসমানী মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক ছিলেন। তিনি আমাদের সিলেটের কৃতি সন্তান। তার জন্মদিন বা মৃত্যুবার্ষিকীতে একটা অনুষ্ঠানও এই সরকার করে না। আবার বলে এরা নাকি মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সরকার।
কুলাউড়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি শওকতুল ইসলাম শকুর সভাপতিত্বে ও পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মুজিবুল আলম সোহেলের পরিচালনায় জনসভায় আরও বক্তব্য দেন সাবেক এমপি ও জাপা নেতা অ্যাডভোকেট নওয়াব আলী আব্বাছ খাঁন, জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট মুজিবুর রহমান মুজিব, মৌলভীবাজার সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ভিপি মিজানুর রহমান মিজান, কুলাউড়া পৌরসভার সাবেক মেয়র কামাল উদ্দিন আহমদ জুনেদ প্রমুখ।