 
                                        
                                        
                                       
                                        
                                             
                                                                                    
নওগাঁ: নওগাঁর সাপাহার উপজেলা আ. লীগের দুঃ'সময়ের কান্ডা'রী ত্যা'গী কর্মী আব্দুস সামাদ মন্ডল এখন ভ্রাম্য'মাণ চা বিক্রেতা। অসহা'য় অর্থ সম্পদহীন এই কর্মীর সংসার জীবন চলছে অনেক টানা-পো'ড়ার মধ্যে দিয়ে। দীর্ঘদিনেও তার ভাগ্যে মেলেনি সরকারি ও দলীয় কোনো সুযোগ সুবিধা।
একান্ত সাক্ষাৎকারে আব্দুস সামাদ জানান, তিনি ১৯৬০ সালে উপজেলার গৌরীপুর গ্রামে এক ধনাঢ্য পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম মৃ'ত গশির উদ্দীন মন্ডল। জন্মের পর থেকে পৈত্রিকভাবে তিনি বৃত্তবান ছিলেন। সময়ের পরিবর্তনে বিভিন্ন প্রতিকূ'লতার মধ্যে পড়ে তিনি তার সহা'য় সম্ব'ল হা'রিয়ে আর্থিকভাবে নিঃ'স্ব হয়ে পড়েন।
১৯৭১ সালে মাত্র ১১ বছর বয়সে মহান মু'ক্তিযু'দ্ধ চলাকালীন সময়ে তিনি তার এলাকায় থাকা মু'ক্তিযো'দ্ধাদের বিভিন্নভাবে সহযোগীতা করেছিলেন। ১৯৮০ সালে আব্দুস সামাদ উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন এরপর ১৯৯৬ সালে তিনি গ্রামের বাড়ি তার জন্মস্থান ছেড়ে সাপাহার উপজেলা সদরে জয়পুর মাষ্টার পাড়ায় দুই ছেলে ও দুই মেয়ে সন্তান নিয়ে তিন শতাংশ জায়গার ওপর বসতবাড়ী নির্মাণ করে বসবাস করে আসছেন। ১৯৯৬ সাল থেকে সাপাহার উপজেলা আ. লীগের দপ্তর সম্পাদক হিসেবে প্রায় ১০/১২ বছর নিষ্ঠা ও সততার সঙ্গে তিনি তার রাজনৈতিক দায়িত্ব পালন করেন।
বর্তমানে তার আর্থিক অবস্থা অস'চ্ছল হওয়ার কারণে প্রতিদিন একটি চায়ের ফ্লাক্স ও বালতি হাতে নিয়ে ফেরি করে চা বিক্রি করেন। তাতে তার আয় প্রতিদিন ৩/৪ শ টাকা যা দিয়ে বর্তমান সময়ে সংসার চালানো প্রায় দু'ষ্ক'র। তারপরেও সারা দিন চা বিক্রয় করে সন্ধ্যার পর আ. লীগ পার্টি অফিসে প্রতিদিন প্রায় ২/৩ ঘণ্টা সময় দেন আব্দুস সামাদ।
পূর্বের ন্যায় এখনো ভালোবাসা কমেনি তার প্রাণপ্রিয় দল আ. লীগের ওপর থেকে। বর্তমান সময়ে দলে হাইব্রিড নেতাদের ভাগ্যে উন্নয়ন হলেও ত্যা'গী নেতা আব্দুস সামাদের দিন চলে খেয়ে না খেয়ে। তিনি অত্যন্ত অক্ষে'প করে বলেন, দল দীর্ঘদিন ধ'রে ক্ষমতায় আছে তার পরেও তিনি কোনো প্রকার দলীয় বা সরকারি সুযোগ সুবিধা পাননি।
সাপাহার উপজেলা আওয়ামী লীগের দু'র্দি'নের কা'ন্ডা'রী ত্যাগী কর্মী আব্দুস সামাদ দলের ঊর্ধ্বতন নেতা ও সরকারি দলের সহযোগীতা কামনা করছেন। জীবনের শেষ সময়ে অন্ততঃ সংসার জীবন পরিচালনায় কিছুটা ক'ষ্ট লা'ঘ'ব হবে এটিই তার শেষ প্রত্যাশা।কালের কণ্ঠ