নড়াইল: নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) মাশরাফি বিন মর্তুজার কল্যাণে নড়াইলের ইতিহাসে প্রথম নারী মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন আনজুমান আরা। আওয়ামী লীগের আনজুমান আরা ১৯ হাজার ২৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি মনোনীত জুলফিকার আলী মণ্ডল পেয়েছেন ৩ হাজার ৮৭১ ভোট।
স্বাধীনতার পর নড়াইলে কোনো নারী মেয়র হননি। তবে নড়াইলের লোহাগড়া পৌরসভায় ২০১৬ সালে আওয়ামী লীগ থেকে লিপি খানম নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন পেয়েছিলেন। কিন্তু জয়লাভ কররতে পারেননি। আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মো. আশরাফুল আলম বিজয়ী হয়েছিলেন। তখন সংসদ সদস্য ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. হাফিজুর রহমান। জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা সেবার বিদ্রোহী মো. আশরাফুল আলমকে নির্বাচন থেকে সরাতে পারেননি।
এবার মাশরাফি বিন মর্তুজা ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নিজাম উদ্দিন খান নিলু নড়াইল পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সরদার আলমগীর হোসেনকে নির্বাচন থেকে সরতে বাধ্য করেন। সরদার আলমগীর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা বাস ও মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ও জেলা কমিটির সদস্য সৌমেন চন্দ্র বসু বলেন, ‘মাশরাফি বিন মর্তুজার কারণেই এই প্রথম নড়াইলে নারী মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। কারণ তিনি যদি বিদ্রোহী প্রার্থীকে না সরাতেন তাহলে হিসাব-নিকেশ পাল্টে যেতে পারত। এজন্য এমপি মহোদয়কে ধন্যবাদ জানাই।’
নড়াইলে প্রথম নারী মেয়র নির্বাচিত হয়ে মাদক, সন্ত্রাস ও যানজটমুক্ত এবং সহনীয় মাত্রার পৌর ট্যাক্সসহ মাস্টারপ্ল্যান অনুযায়ী একটি মডেল পৌরসভার গড়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন আনজুমান আরা।সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দেশ স্বাধীনের পর ১৯৭২ সালে নড়াইল পৌরসভা গঠিত হয়। ২২ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এই পৌরসভাটি দ্বিতীয় শ্রেণি থেকে প্রথম শ্রেণিতে উন্নীত হয়।
আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত নড়াইল পৌরসভায় ২০১১ সাল ছাড়া বাকি সব পৌর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী জয়লাভ করেছেন। ২০১১ সালে পৌর নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী জয়লাভ করেন।