নাটোর থেকে : ২০২১ সালের ২৪ জুন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তাদের পরিচয়। এরই মাঝে গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। এর ৬ মাস পর সেই কলেজছাত্রের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন অধ্যাপিকা। ছাত্রের নাম মামুন (২২) ও অধ্যাপিকার নাম খাইরুন নাহার (৪০)।
ভালোবাসা কোনো বাধা মানে না তাদের বয়সের ব্যবধান সেটা আরও একবার প্রমাণ করেছে। ২০২১ সালের ১২ ডিসেম্বর নাটোরের গুরুদাসপুরে ঘটেছে এমন ঘটনা। সপ্তাহ খানেক আগে ওই দম্পতির বিয়ের বিষয়টি ছড়িয়ে পড়লে তা জানাজানি হয়।
বর্তমানে তারা নাটোর শহরের একটি ভাড়া বাড়িতে বসবাস করছেন। জানা গেছে, খাইরুন নাহার গুরুদাসপুর উপজেলার খুবজীপুর এম হক ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপিকা। আর মামুন নাটোর এনএস সরকারি কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। তার বাড়ি একই উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের পাটপাড়া গ্রামে।
বিয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে খাইরুন নাহার বলেন, তার প্রথমে বিয়ে হয়েছিল রাজশাহীর বাঘায়। সেখানে তার একটি সন্তানও রয়েছে। তবে পারিবারিক কলহের কারণে সেই সংসার বেশিদিন টিকেনি। স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন।
এই শিক্ষিকা বলেন, ‘‘আত্মহ'ত্যা করারও সিদ্ধান্ত নেই। সে সময় ফেসবুকে মামুনের সঙ্গে পরিচয়। মামুন আমার খারাপ সময় পাশে থেকে উৎসাহ দিয়েছে এবং নতুন করে বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখিয়েছে। পরে দুজন বিয়ের সিদ্ধান্ত নেই। বিয়ের পর মামুনের পরিবার মেনে নিলেও আমার পরিবার মেনে নেয়নি।’’
এ বিষয়ে মামুন বলেন, ‘’মন্তব্য কখনো গন্তব্য ঠেকাতে পারে না। কে কি বলল সেগুলো মাথায় না নিয়ে নিজেদের মতো সংসার গুছিয়ে নিয়ে জীবন শুরু করেছি। সকলের কাছে দোয়া চাই।’’