এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : পদ্মানদী বিধৌত নাটোরের লালপুরে আম গাছ গুলিতে দেখা মিলতে শুরু করেছে আগাম মুকুল। জানুয়ারির মাঝামাঝি আমের মুকুল আসার কথা থাকলেও নির্ধারিত সময়ের একমাস আগেই পৌষের শুরুতেই আবহাওয়াগত ও জাত ভেদের কারণে কিছু কিছু আম গাছে দেখা দিয়েছে মুকুল।
আগাম মুকুল আসায় উপজেলা জুড়ে বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছে মিষ্টি গন্ধ। মুকুলের মৌ মৌ মিষ্টি গন্ধ জানান দিচ্ছে প্রকৃতিতে মধুমাস সমাগত। আগাম মুকুল আশায় আম চাষিদের মনে আশার আলো দেখা দিয়েছে। তবে ঘনকুয়াশা বা শৈত্যপ্রবাহ নামলে এই সকল আগাম মুকুলের ক্ষতি হবে বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।
লালপুর কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, এই উপজেলায় ১ হাজার ৮শ’ ৫ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের আমের বাগান আছে। এখানকার চাষকৃত আম হলো, ফজলি, ল্যাংড়া, খেরসাপতি, গোপালভোগ, আম্রপালি, লকনা অন্যতম।
এদিকে আগাম মুকুলের দেখা দেওয়ায় বাগান মালিকরা অনেকটা আগে ভাগেই আম বাগানগুলোতে পরিচর্যার কাজ শুরু করেছে। আমের রাজধানী হিসেবে রাজশাহী ও চাপাইনবাবগঞ্জ বিখ্যাত হলেও নাটোর জেলাও কোনো অংশে কম নয়।
সরেজমিনে লালপুর উপজেলার ওয়ালিয়া গ্রামে দেখা যায় বাড়ির আঙ্গিনায় ও বাগানের কিছু কিছু গাছে আগাম মুকুল আসতে শরু করেছে। কথা হয় আম চাষী মোস্তফা কউছার, রফিকুল ইসলামের সঙ্গে তারা বলেন, আবহাওয়াগত ও জাত ভেদের কারণে নির্ধারিত সময়ের একমাস আগেই কিছু কিছু গাছে দেখা দিয়েছে মুকুল। তবে আরো কিছু দিন পরে বাগানের প্রতিটি গাছেই পুরোপুরিভাবে মুকুল ফুটতে শুরু করবে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে এবার গাছগুলোতে মুকুলের সমারোহ ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান তারা।
লালপুর উপজেলা কৃষি অফিসার রফিকুল ইসলাম জানান, আবহাওয়াগত ও জাতের কারণেই মূলত কিছু কিছু আমের গাছে আগাম মুকুল আসতে শুরু করেছে। ঘনকুয়াশা বা শৈত্যপ্রবাহ নামলে আগাম মুকুলের ক্ষতি হবে। আবহাওয়া শেষ পর্যন্ত অনুকূলে থাকলে জানুয়রির মাঝামাঝি সময়ে সব গাছে মুকুল দেখা যাবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।