নীলফামারী : নীলফামারীর ডোমারে একটি হোটেলে বসে নাস্তা খাচ্ছিলেন উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলের ছাত্রী সুরাইয়া আক্তার রিশার খুনী ওবায়দুল খান। এ সময় তাকে চিনতে পেরে পুলিশে খবর দেন স্থানীয় দুলাল হোসেন। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ওবায়দুলকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
ডোমারের হরিণচড়া গ্রামের দুলাল হোসেন (৪০) বলেন, ‘সকাল পৌনে ৮টার দিকে ওবায়দুলকে সোনারায় বাজারে রফিকুল ইসলামের হোটেলে নাস্তা খেতে দেখি। তার ছবি বিভিন্ন সংবাদপত্র ও ফেসবুকে দেখেছিলাম। চেহারা মিলে যাওয়ায় ডোমার থানায় মোবাইল করে জানালে পুলিশ এসে তাকে গ্রেফতার করে।’
এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে শহরের বিভিন্ন স্থানে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি), ডোমার থানা পুলিশ ও র্যাব তাকে ধরতে সাঁড়াশি অভিযান চালায়।
ডোমার থানার ওসি আহমেদ রাজিউর রহমান রাজু জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওবায়দুলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে ঢাকায় পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
প্রসঙ্গত, রাজধানীর কাকরাইলে গত বুধবার উইলস ফ্লাওয়ার স্কুলের সামনের ফুটওভার ব্রিজে রিশাকে ছুরিকাঘাত করে বৈশাখী টেইলার্স কাটিং মাস্টার ওবায়দুল। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত রবিবার রিশা মারা যায়। রিশাকে ছুরিকাঘাত করার পরদিন তার মা তানিয়া হোসেন বাদী হয়ে রমনা থানায় মামলা করেন। রিশার মৃত্যুর পর মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হয়।
রিশাকে ছুরিকাঘাত করার পর ওবায়দুল ঢাকা থেকে পালিয়ে প্রথমে দিনাজপুরের বীরগঞ্জে তার বোন ও দুলাভাইয়ের বাড়িতে অবস্থান নেয়। মঙ্গলবার সেখানে অভিযান চালিয়ে ওবায়দুলকে পাওয়া না গেলেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বোন খাদিজা বেগম ও দুলাভাই খাদেমুল ইসলামকে আটক করে পুলিশ। তাদের ঢাকায় নেওয়া হয়েছে। -বাংলা ট্রিবিউন
৩১ আগস্ট, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএম