নীলফামারী : রাজধানীর উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজের স্কুলছাত্রী সুরাইয়া আক্তার রিশার (১৪) হত্যাকারী ওবায়দুল খানকে (২৯) ধরিয়ে দিতে পুলিশকে সহযোগিতা করায় ৩ জনকে পুরস্কৃত করেছে নীলফামারী জেলা পুলিশ।
এরা হলেন মাংস ব্যবসায়ী দুলাল হোসেন, ইজিবাইকচালক ইসমাইল হোসেন (২৫) ও সোনারায় ইউপি সদস্য শাহজাহান আলী (৩৫)।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে ডোমার থানা চত্বরে অনুষ্ঠিত ওপেন হাউস ডে এবং কমিউনিটি পুলিশিং সভায় তাদের হাতে পুরস্কারের অর্থ তুলে দেন পুলিশ সুপার মো. জাকির হোসেন খান।
পুরস্কার পেয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় দুলাল হোসেন বলেন, স্কুলছাত্রী রিশার খুনি ওবায়দুলকে ধরিয়ে দেয়ার সময় ভাবতে পারিনি আমি প্রশংসিত হব, মানুষের কাছে এত সম্মান-ভালোবাসা পাব। প্রশংসা আমাকে আরো ভালো কাজ করার অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে।
গত ৩১ আগস্ট সকালে ডোমারের সোনারায় বাজার থেকে চাঞ্চল্যকর রিশা হত্যা মামলার পলাতক আসামি ওবায়দুল খানকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন ওই বাজারের মাংস ব্যবসায়ী দুলাল হোসেনসহ অপর দুজন।
তারা ওই বাজারে ওবায়দুলকে ঘোরাফেরা করতে দেখে সন্দেহ হলে পুলিশের সরবরাহ করা ছবির সঙ্গে মিলিয়ে দেখেন। ছবির সঙ্গে মিল পেয়ে ওবায়দুলকে আটক করে পুলিশে খবর দেন। এরপর পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে ঢাকায় নিযে যায়।
ডোমার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহমেদ রাজিউর রহমান বলেন, রিশা হত্যা মামলার আসামি ওবায়দুলকে ধরিয়ে দেয়ার কাজে সহযোগিতা করায় দুলাল হোসেনসহ তিনজনকে আর্থিক পুরস্কার দিয়েছে জেলা পুলিশ। তবে পুরস্কারের টাকার পরিমাণ জানাননি তিনি।
গত ২৪ আগস্ট পরীক্ষা শেষে রিশা স্কুলের সামনের ফ্লাইওভার দিয়ে সড়কের ওপারে যাওয়ার সময় বখাটে কাটিং মাস্টার ওবায়দুল তাকে ছুরিকাঘাত করেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ২৮ আগস্ট মারা যায় রিশা।
এ ঘটনায় তার মা তানিয়া হোসেন রমনা থানায় এলিফ্যান্ট রোডের ইস্টার্ন মল্লিকা শপিং কমপ্লেক্সের বৈশাখী টেইলার্সের কর্মী ওবায়দুল খানকে আসামি করে মামলা করেন।
ওবায়দুলকে গ্রেপ্তারের দাবিতে উইলস লিটল ফ্লাওয়ারের শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নেমে আলটিমেটাম দেয়।
৬ সেপ্টেম্বর,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এমআর/এসএম