নীলফামারী : চাচার জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে চাকুরি করছে ভাতিজা। শুধু তাই নয়, একই আইডি কার্ডের ছবি পরিবর্তন করে চাচার নামে বিয়েও করেছে ভাতিজা।
এমন ঘটনা ঘটেছে নীলফামারীর জেলার ডিমলা উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের উত্তর সুন্দরখাতা গ্রামে।
এ নিয়ে এলাকায় রীতিমত তোলপাড় শুরু হয়েছে। এ ঘটনায় ভাতিজা মনোয়ার হোসেনকে আটক করেছে পুলিশ।
জানা গেছে, উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের উত্তর সুন্দরখাতা গ্রামের আবু বক্কর সিদ্দিকের ছেলে মনোয়ার হোসেন। সে চাচা রফিকুল ইসলামের আইডি কার্ডের ছবি পরিবর্তন করে জাল কাগজপত্র দিয়ে একটি ইন্সুরেন্স কোম্পানীতে চাকুরি করে আসছিল। কোম্পানীর নোয়াখালী সদরে মাঠকর্মী হিসেবে কর্মরত ছিল সে।
চাকুরির সুবাধে নোয়াখালী জেলার সেনবাগ উপজেলার বৈদ্যবাড়ি গ্রামের ওমর ফারুকের স্ত্রী খোদেজা বেগম (এক সন্তানের জননী) কে ১ বছর আগে ৮ লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ে করে মনোয়ার। পরে সেখান থেকে চাকুরি ছেড়ে পালিয়ে যায়।
বিয়ের পর বিভিন্নভাবে নির্যাতনের কারণে ডিমলা থানায় অভিযোগ করেন খোদেজা বেগম। পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত করতে গেলে মনোয়ারের জালিয়াতির বিষয়টি ফাঁস হয়।
চাচা রফিকুল ইসলামও ঘটনাটি জানতে পেয়ে বুধবার রাতে ডিমলা থানার অভিযোগ দায়ের করেছেন।
রফিকুল ইসলাম বলেন, প্রতারক মনোয়ার আমার প্রতিবেশি ভাতিজা, সে আমার জাতীয় পরিচয়পত্রের ছবি পবির্তন করে ও আমার সনদপত্র জালিয়াতি করে নোয়াখালীতে চাকুরির সুবাধে খোদেজা বেগমকে বিয়ে করে। মনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করে জাল জাতীয় পরিচয়পত্র ও আসল পরিচয়পত্র দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে মনোয়ার হোসেন বলেন, আমার বয়স বেশি থাকার কারণে প্রতিবেশি চাচা রফিকুল ইসলামের জাতীয় পরিচয়পত্রের ছবি পরিবর্তন করে চাকুরি করি। সেখানে চাকুরির সুবাধে প্রেমের সূত্রে খোদেজাকে বিয়ে করি।
বিষয়টি অপরাধ কিনা জানতে চাইলে 'এটা আমাদের পারিবারিক ভুল বুঝাবুঝি' মন্তব্য করেন মনোয়ার।
এ ব্যাপারে খোদেজা বেগম লেন, আমাকে মিথ্যা নামে প্রতারক মনোয়ার বিয়ে করেছে। বিষয়টি থানায় অভিযোগ দেয়ার পর ঘটনার রহস্য বেরিয়ে এসেছে।
ডিমলা থানার ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। প্রতারক মনোয়ারকে আটক করা হয়েছে। তদন্ত শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। -যুগান্তর।
০৬ অক্টোবর, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএম