নীলফামারী: নীলফামারীর সৈয়দপুরে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে বিদ্যালয়টির এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এরপর বিষয়টি আপসরফার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে মেয়েটির পরিবার।
নীলফামারীর ঘটনায় স্কুলছাত্রীর মায়ের ভাষ্যমতে, তাঁর মেয়ে বাড়ির পাশে বিদ্যালয়টিতে পড়ে। গত বুধবার সকালে সে অন্য দিনের মতোই স্কুলে যায়। দুপুরে কাঁদতে কাঁদতে বাড়িতে ফিরে তাঁকে জানায়, একজন শিক্ষক (নাম প্রকাশ করা হলো না) তার সঙ্গে খারাপ কাজ করেছেন। পরে পুরো ঘটনা খুলে বলে। তাতে জানা যায়, ওই দিন বিদ্যালয়ের পাঁচজন শিক্ষকের তিনজন ছুটিতে ছিলেন। বেলা দেড়টার দিকে স্কুল ছুটি দিয়ে দেন দায়িত্বপ্রাপ্ত ওই শিক্ষক। আগেই ছুটি হওয়ায় মেয়েটি মাঠে খেলছিল। পরে তাকে ডেকে নিয়ে বিদ্যালয়ের একটি কক্ষে দরজা আটকে ধর্ষণ করেন তিনি।
শিশুটির মা অভিযোগ করেন, এ ঘটনায় তিনি প্রধান শিক্ষককে জানালে তিনি মীমাংসা করার কথা বলেন। পরে তিনি এলাকার ইউপি সদস্য নুর নবীকে জানালে গতকাল শনিবার সকালে সালিস করার কথা জানান। কিন্তু সালিস হয়নি। ইতিমধ্যে প্রধান শিক্ষক মীমাংসার জন্য বারবার চাপ দিতে থাকেন। এ অবস্থায় তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) অভিযোগ করতে চাইলে প্রধান শিক্ষক তাঁকে ভয়ভীতি দেখান।
গতকাল দুপুরে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শাহজাহান মণ্ডল বলেন, ‘ঘটনাটি কিছুক্ষণ আগে প্রধান শিক্ষকের কাছে শুনেছি। ছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ ইউএনও এস এম গোলাম কিবরিয়া বলেন, অভিযোগ পেলে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।