নীলফামারীর সৈয়দপুরে বাবার ওপর অভিমান করে চিরবিদায় নিলেন কলেজপড়ুয়া এক শিক্ষার্থী। তার নাম আরিফ হোসেন (২০)। গত শুক্রবার রাতে শহরের নিচু কলোনি ভাঙা কোয়ার্টার এলাকায় আত্মহত্যার ঘটনাটি ঘটেছে। এ ঘটনায় স্থানীয় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।
থানা পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, সৈয়দপুর পৌরসভা ৮ নম্বর ওয়ার্ডের নিচু কলোনি ভাঙা কোয়ার্টার এলাকার বাসিন্দা মো. ময়নুল ইসলাম বাবু। তিনি পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি। তাঁর দুই ছেলের মধ্যে আরিফ হোসেন (২০) ছোট। তিনি শহরের পাটোয়ারীপাড়াস্থ মকবুল হোসেন বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজে একাদশ শ্রেণিতে অধ্যয়নরত ছিলেন। গত শুক্রবার (২৩ জুলাই) কলেজছাত্র আরিফ স্থানীয় একটি সেলুনে গিয়ে নিজের তার মাথার চুল কাটান। এরপর তিনি বাসায় ফিরে এলে চুল কাটার আকার আকৃতি নিয়ে বাবার সঙ্গে বাগবিতণ্ডা হয়। পরবর্তীতে আরিফের বাবা তাকে আবারও ভালোভাবে চুল কাটানোর জন্য সেলুনে পাঠান। পরে আরিফ সেলুন থেকে ফিরে রাতের খাওয়া সেরে বাসার নিজের রুমে ঘুমিয়ে পড়েন। শনিবার (২৪ জুলাই) সকাল আনুমানিক ৭টা পর্যন্ত তাকে ঘুম থেকে উঠতে না দেখে তার মা ডাকতে যান। এ সময় তিনি দেখেন হৃদয়বিদারক দৃশ্য, দেখেন সিলিংয়ের সঙ্গে ঝুলছে ছেলের লাশ।
এ সময় তিনি চিৎকার শুরু করলে তার বাবা ও আশপাশের লোকজন দ্রুত ছুটে আসেন। এরপর তাকে নিচে নামানো হয়। পরে খবর পেয়ে সৈয়দপুর থানার ওসি মো. আবুল হাসনাত খানের উপস্থিতিতে উপপরিদর্শক (এসআই) পলাশ চন্দ্র বর্মা ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেন। তিনি জানান, লাশের শরীরে কোথাও কোনোরকম আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। কলেজছাত্র আরিফ তার বাবার ওপর অভিমান করে আত্মহত্যা করে থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
সৈয়দপুর থানার ওসি আবুল হাসনাত খান বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর (ইউডি) মামলা হয়েছে। লাশের ময়নাতদন্তের জন্য নীলফামারী আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।