এমটি নিউজ ডেস্ক : নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার সবকটি ইউনিয়ন ও ডোমারের দুটি ইউনিয়নে ঝড় ও শিলাবৃষ্টি হয়েছে। প্রায় ১০ মিনিট স্থায়ী শিলাবৃষ্টিতে উঠতি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। মুহুর্তে দুই শতাধিক ঘড়বাড়ি ভেঙে গেছে। উপড়ে পড়েছে প্রায় তিন শতাধিক গাছপালা।
রোববার (১০ এপ্রিল) বিকেলে হঠাৎ করে ঝড় ও শিলাবৃষ্টি শুরু হয়। ঝড়ের পর থেকে ডিমলা ও ডোমারের কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ সাময়িক বন্ধ ছিল। ডিমলায় ভেঙে পড়া গাছপালা সরাতে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট।
রুবেল ইসলাম নামের এক ব্যবসায়ী জানান, বিকেলে হঠাৎ করে আকাশ কালো মেঘে ঢেকে যায়। এর কিছুক্ষণ পর বৃষ্টি শুরু হয়। এক পর্যায়ে বৃষ্টির সঙ্গে শিলাবৃষ্টি পড়তে থাকে। শিলাবৃষ্টি শেষ হওয়ার পরপরই শুরু হয় ঝড়।
ঝড়ে ডিমলা উপজেলার সবকটি ইউনিয়ন ক্ষতিগ্রস্ত হলেও ডোমারের দুটি ইউনিয়ন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে ডিমলা কৃষি অফিস জানিয়েছে, শিলাবৃষ্টি ডিমলার বালাপাড়া, ডিমলা সদর ও গয়াবাড়ী ইউনিয়নের ওপর দিয়ে গেছে।
জাহাঙ্গীর নামের এক কৃষক জানান, হঠাৎ ঝড়ে তার ভুট্টাক্ষেতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বেশিরভাগ গাছ উপড়ে গেছে।
গোমনাতি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শুভ ঝড়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ঝড়ে তার এলাকার প্রায় শতাধিক আধাপাকা বাড়ি ভেঙে গেছে। উঠতি ফসলের ক্ষতির পাশাপাশি ভুট্টাগাছগুলো উপড়ে পড়ে গেছে।
ঝড়ে জমির আধাপাকা ধান ও সবজিক্ষেত একেবারেই নষ্ট হয়ে গেছে কৃষক মনজুর। কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘এমনিতে জিনিসের যে দাম তার ওপর এই আঘাতে আমার আর উঠে দাঁড়ানো সম্ভব নয়।’
ডিমলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সেকেন্দার আলী ঝড় ও শিলাবৃষ্টি হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, অফিস আওয়ারের পড়ে ঝড় হওয়ায় সবাই বাড়ি চলে গেছেন। তারপরও কর্মচারী-কর্মকর্তাদের ডেকে মাঠে পাঠানো হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণের চেষ্টা চলছে। আগামীকাল ছাড়া ক্ষতির পরিমাণ জানানো সম্ভব নয়।