মহিনুল সুজন, নীলফামারী প্রতিনিধি: মোবাইল এজেন্টের মাধ্যমে পল্লী বিদ্যুতের বিলের অর্থ জমা দিতে গিয়ে প্রতারণার শিকার হয়েছে নীলফামারীর কিশোরীগঞ্জ উপজেলার প্রায় দেড় হাজার গ্রাহক। ফলে বিল বকেয়া দেখিয়ে ওই সব গ্রাহকদের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। গ্রাহকরা মোবাইল এজেন্টের মাধ্যমে বিল জমা দেয়ার কাগজ দেখালেও সেটি ভুয়া প্রমানিত হওয়ায় এ নিয়ে এলাকায় তোলপাড় সৃস্টি হয়েছে। এতে ওই উপজেলার পল্লী বিদ্যুতের এজেন্ট ফারুক টেলিকমের মালিক সহ কর্মচারীরা দোকান বন্ধ করে পালিয়ে গেছে। গ্রাহকরা জানায় তাদের বিল জমা দেয়ার অর্থের পরিমান প্রায় ৮ লাখ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায় ওই উপজেলায় পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহক প্রায় ২৫ হাজার। এরমধ্যে উপজেলা সদরে রয়েছে দেড় হাজার গ্রাহক। তারা তাদের বাসা বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের প্রতি মাসের বিদ্যুৎ বিল এলাকার ফারুক হোসেনের ফারুক টেলিকমে মোবাইলের মাধ্যমে পরিশোধ করে আসছে। কিন্তু ৪ ও ৫ মাসের বিল বকেয়া দেখিয়ে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মচারীরা গত দুই দিনে ওই সব গ্রাহকদের বাসাবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে শুরু করে। এতে ঘটনা বেরিয়ে আসে ওই এজেন্ট গ্রাহকদের বিল জমা নিলেও তা পল্লী বিদ্যুতের একাউন্টে জমা করেনি। চেংমারী গ্রামের গ্রাহক আব্দুস সাক্তার বলেন, তিনি তার ৪ মাসের বকেয়া এক হাজার ৭৭ টাকা, গদা গ্রামের জাহাঙ্গীর ৫ মাসের বকেয়া দুই হাজার ২৩৫ টাকা , আমিনুর এক হাজার ৪শত টাকা, এজাবুল ৬ মাসের দুই হাজার ২শত টাকা সহ অন্যান্য সকল গ্রাহক মিলে মোট ৮ লাখ টাকা ফারুক টেলিকমের মোবাইলের মাধ্যমে পরিশোধ করেন। এ জন্য বিল পরিশোধের কাগজ তাদের সিল দিয়ে ধরিয়ে দেয় ফারুক টেলিকম। কিন্তু সেটি গ্রহণ করছেনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি।ফলে ওই বিলের টাকা বকেয়া দেখিয়ে পল্লী বিদ্যুতের কর্মচারীরা তাদের বাসাবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিচ্ছে ও দিয়েছে। এখন তারা প্রতারণার পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্থ্য হয়েছে। তারা এর প্রতিকার চেয়েছে।
এ ব্যাপারে কিশোরীগঞ্জ পল্লী বিদ্যুতের সাব জোনাল অফিসের এজিএম মোঃ নুর আলম সাংবাদিকদের বলেন, টেলিটকের মাধ্যমে ওই এজেন্ট পল্লী বিদ্যুতের বিল জমা নিয়ে থাকে। প্রতারণার বিষয়টি আমরা টেলিটক কোম্পানীকে অবগত করবো।
২২ এপ্রিল, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪.কম/প্রতিনিধি/এইচএস/কেএস