মহিনুল ইসলাম সুজন, নীলফামারী প্রতিনিধি: স্বামীকে সিলেটে যেতে বাধা দেয়ায় স্ত্রী তানজিনা বেগমকে (২৬) শ্বাসরোধ করে হত্যার পর পুকুরে লাশ ফেলে দিয়ে তিন সন্তানকে সাথে নিয়ে পালিয়েছে স্বামী ছামিনুর রহমান (৩০)। নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার খালিশাচাঁপানী ইউনিয়নের ছোটখাতা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। সোমবার দুপুর ১টার দিকে পুকুরে জাল ফেলে পুলিশ ওই গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করে। লাশ উদ্ধারের সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন নীলফামারী সহকারী পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ফিরোজ কবীর ও ডিমলা থানার ওসি রুহুল আমিন খাঁন।
এলাকাবাসী জানায় গ্রামের ইউসুফ আলীর ছেলে ছামিনুল রহমান সিলেটে পাথর শ্রমিকের কাজ করে। সে গত ১৫ দিন আগে বাড়ি ফিরে আসে। তার স্ত্রী স্থানীয়ভাবে পাথর শ্রমিকের কাজ করতো। পহেলা মে স্বামী সিলেটে ফিরে যাওয়ার কথা বলে স্ত্রীর কাছে তিন হাজার টাকা দাবি করে। এতে স্ত্রী স্থায়ীয় ভাবে পাথর শ্রমিকের কাজ করার কথা জানিয়ে স্বামীকে সিলেটে যেতে বাধা দেয়। এই ঘটনায় ছামিনুর ক্ষিপ্ত হয়ে তার স্ত্রীকে বেধরক পিটিয়ে ঘরে ফেলে রেখেছিল।
এরপর রবিবার রাতে স্ত্রী নিখোঁজ জানিয়ে তার শাশুড়িকে মোবাইলে জানায়। হত্যার শিকার তানজিনার মা একই উপজেলার পাশ্ববর্তী ঝুনাগাছ চাঁপানী ইউনিয়নের কাঁকড়া মাষ্টার পাড়ার মৃত তাইজু উদ্দিনের স্ত্রী মোমিনা বেওয়া কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে জানায় রবিবার রাত ৯টায় তার মেয়ে নিখোঁজের কথা জামাইয়ের মোবাইল পেয়ে সকালে ছুটে আসি।
এসে দেখি জামাইয়ের বাড়িতে তালা ঝুলছে। মেয়ের তিন সন্তান শাবনুর আক্তার (৭), ময়না আক্তার (৫) ও ইমরান (৩) সহ জামাইকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এক পর্যায়ে জামাইয়ের বাড়ির ধারে পুকুরের পানিতে তানজিনার একটি ওড়না ভেসে থাকতে দেখা গেলে ডিমলা থানায় খবর দেন তিনি। তানজিনা বেগমের বড় ভাই মমিনুর রহমান বলেন, আমার ছোট বোন সাতার কাটতে জানে। বাড়ীর পাশ্ববর্তী পুকুর থাকার পর পশ্চিম পাশ্বে ২০০গজ দুরে পুকুরে লাশ পাওয়া ঘটনাটি সম্পুর্ন সাজানো। তানজিনা হত্যার পর তার লাশ পুকুরে ফেলে দেয়া হয়েছে।
ডিমলা থানার ওসি রহুল আমিন খান এবং নীলফামারী সহকারী পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ফিরোজ কবীর এই প্রতিবেদককে জানান, প্রাথমিকভাবে এটি হত্যাকান্ড বলে ধারনা করা হচ্ছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য জেলার মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ রিপোট লেখা পর্যন্ত ( বিকাল ৫টা) পর্যন্ত মামলা হয়নি। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে মর্মে পুলিশ নিশ্চিত করেন।
২ মে,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এইচএস/কেএস