মহিনুল ইসলাম সুজন,নীলফামারী প্রতিনিধি: উজানের ঢলে তিস্তার পানি বিপদসীমার নিচে নেমে আসলেও ভাঙ্গনের তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে। রবিবার দুপুরে থেকে আজ মঙ্গলবার পর্যন্ত টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুইটি বিল্ডিং ডেবে যেতে শুরু করেছে। প্রাথমিক বিদ্যালয়টি রক্ষার জন্য জরুরী ভিত্তিতে বালুর বস্তা ও বাশের পাইলিং করার জন্য উপজেলা কর্মকর্তা নির্দেশ দিলেও বন্যার কারনে তা সম্ভব হয়ে উঠছে না। বিদ্যালয় সংলগ্ন রাস্তা বিলীন হওয়ার পর নতুন এবং পুরাতন ভবন গুলোও ডেবে যাচ্ছে।এমন কি এলাকাবাসীর অনেক কষ্টে বানানো এক হাজার দৈর্ঘ্য মিটারের স্বেচ্ছাশ্রমের বাধটিও ইতিপুর্বে নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।তিস্তা যেনো রাক্ষসী হয়ে উঠছে(!)
বিভিন্ন নির্ভর যোগ্য মাধ্যমে জানা গেছে, গত দুই দফায় তিস্তার উজানের ঢলের পানিতে তিনটি ওয়াডের ৬টি গ্রাম যথাক্রমে- চরখড়িবাড়ি, মধ্য চড়খড়িবাড়ি পূর্বখড়িবাড়ি, টাপুরচর, ঝিঞ্জিরপাড়া ও মেহেরটারী পুরাত টাপুরচর লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। গৃহহীন হচ্ছে হাজার হাজার মানুষ। বিলীন হতে বসেছে মধ্য চরখড়িবাড়ি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পুরাতন ও নতুন পাকা ভবন ২টি। এখানকার (চরখড়িবাড়ির) সীমান্তে অবস্হিত ক্যাম্পটিও তিস্তার ভাঙ্গনের হুমকীর মুখে পড়েছে। ৭ বিজিবির পক্ষে ওই বিজিবি ক্যাম্প থেকে সরকারী মূল্যবান সম্পদ নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে।কেননা নদীর মূল গতীপথ পরিবর্তন হয়ে এখন চরখড়িবাড়ি পানি দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
২৮ জুন, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪.কম/প্রতিনিধি/এইচএস/কেএস