পটুয়াখালী : শিক্ষক–সংকটে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের ৭৭নং চর ওয়াডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এ কারণে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। শিক্ষকের বদলে ক্লাস নিচ্ছেন দপ্তরি কাম প্রহরী।
বিদ্যালয়টিতে কাগজে-কলমে কর্মরত আছেন তিনজন। বাস্তবে পুরো স্কুল চালাচ্ছেন একজন শিক্ষক। তিনিও পাশের একটি স্কুলে পঞ্চম শ্রেণির মডেল টেস্ট পরীক্ষার দায়িত্বে আছেন। এ কারণে দুই দিন ধরে বিদ্যালয়টিতে ক্লাস নিচ্ছেন দপ্তরি কাম প্রহরী।
আজ রোববার দুপুরে ৭৭ নং চর ওয়াডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণিতে মো. হেমায়েত উদ্দিন (২৮) নামের এক ব্যক্তি পাঠদান করছেন। তিনি ওই বিদ্যালয়ের দপ্তরি কাম প্রহরীর দায়িত্বে আছেন।
চতুর্থ শ্রেণিতে কোনো শিক্ষক না থাকায় শিক্ষার্থীরা সহপাঠীদের সঙ্গে খেলছে। পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা মডেল টেস্ট পরীক্ষা দিতে গেছে।
এ ব্যাপারে দপ্তরি কাম প্রহরী হেমায়েত উদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘স্যারে (ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক) ফাইভের (পঞ্চম শ্রেণি) পোলাপাইন লইয়া পরীক্ষা দেওয়াইতে গ্যাছেন।’
জানা গেছে, বিদ্যালয়টিতে মোট ছাত্রসংখ্যা ৩০৩। মার্চ মাস পর্যন্ত বিদ্যালয়টিতে শিক্ষক ছিলেন চারজন। এর মধ্যে একজনকে মার্চ মাসের শেষের দিকে বদলি করা হয়েছে।
বাকি তিনজনের মধ্যে আল মামুন নামের একজন পাশের চরব্যারেট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রেষণে আছেন। জোবায়দা খাতুন চিকিৎসাজনিত ছুটিতে আছেন।
অপর সহকারী শিক্ষক মো. মানিক হোসেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে বিদ্যালয়টিতে পাঠদান করছেন।
শিক্ষক মো. মানিক হোসেন বলেন, শিক্ষক–সংকটের কারণে ছুটি পর্যন্ত নিতে পারছি না। সাতজন শিক্ষক থাকার কথা, কিন্তু একজনের পক্ষে করা অসম্ভব। তবুও চালিয়ে যাচ্ছি।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হোসনে ইয়াসমিন করিমি বলেন, শিগগিরই এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
২৫ সেপ্টেম্বর,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এমআর/এসএম