পটুয়াখালী থেকে : নৌপরিহন মন্ত্রী শাজাহান খান বলেছেন, ১৯৭৮ সালের জানুয়ারী মাসে জিয়াউর রহমান চট্রগ্রামে একটি সভায় গিয়েছিলেন। সেখানে জিয়াউর রহমানকে বিএনপির নেতা ডা. ইউসুফ বলেছিলেন, আমরা তো ইসলামী ভাবধারার রাজনীতি করি, কিন্তু আমাদের পতাকায় কোনো ইসলামের চিহ্ন নেই। তখন জিয়াউর রহমান বলেছিলেন, 'হবে হবে, আমাকে আগে ওই হিন্দুর লেখা জাতীয় সংগীত পাল্টাতে দাও।' ৩০ লক্ষ মানুষের রক্ত দিয়ে যে জাতীয় সংগীত আমরা অর্জন করলাম, একটি জাতীয় পতাকা অর্জন করলাম তাকে ধ্বংস করার চেষ্টা করেছিলেন জিয়াউর রহমান।
শনিবার সকাল ১১টায় পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ উপজেলা কমান্ড কর্তৃক আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় নৌপরিহন মন্ত্রী এসব কথা বলেছেন। মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কলাপাড়া উপজেলা কমান্ডার মো. বদিউর রহমান বন্টিনের সভাপতিত্বে এ মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান ইসমত কাদির গামা, সাংগঠনিক কমান্ডার সুলতান আহমেদ, পটুয়াখালী জেলা ইউনিট কমান্ডার এম এ হালিম, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুল মোতালেব তালুকদার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র এস এম রাকিবুল আহসান, মেট্রো ওয়াশিংটন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও কলাপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আলাউদ্দিন আহমেদ বেপারী, কলাপাড়া শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌরসভার মেয়র বিপুল চন্দ্র হাওলাদার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম, মুক্তিযোদ্ধা ও সাংবাদিক হাবিবুল্লাহ রানা প্রমুখ।
মন্ত্রী আরও বলেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের একজনের নাম দিয়ে কাবা শরীফের অবমাননা করা হয়েছে, একথা বলে নাসিরনগরে অগ্নিসংযোগ,বাড়ি-ঘর, জ্বালাও-পোড়াও করা হয়েছে। এ কৌশল বেগম খালেদা জিয়া এবং জামাত-শিবিরের। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার কাজ শেষ হয়েছে। অগ্নিসংযোগ, জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে-পিটিয়ে যাদের হত্যা করা হয়েছে, সে হত্যাকাণ্ডের বিচার করতে হবে। সে আসামী খালেদা জিয়া হোক আর যে হোক, তার বিচার আমরা করে ছাড়বো। বিডি প্রতিদিন
২০ নভেম্বর ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এসএস/এসবি