পটুয়াখালী থেকে : ভালোবাসা মানে না কোনো বাধা। তাই তো সাত সমুদ্র তেরো নদী পাড়ি দিয়ে এবার প্রেমের টানে পটুয়াখালীর বাউফলে প্রেমিকের বাড়িতে ছুটে এসেছেন নিকি উল ফিয়া নামের ইন্দোনেশিয়ান এক তরুণী।
জানা যায়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে পরিচয়। পরিচয় থেকে বন্ধুত্ব। অবশেষে প্রেম। প্রেম থেকেই মন দেয়া-নেয়া। আর সেই মনের টানেই বাউফলের এক তরুণের কাছে ছুটে আসেন ইন্দোনেশিয়ান সুদর্শনা এক তরুণী।
এমনই প্রেমময় কাহিনী ঘটেছে বাউফলের দাসপাড়া গ্রামে। শত শত উৎসুক জনতা ওই তরুণীকে একনজর দেখতে ভিড় জমাচ্ছে দেলোয়ার হোসেনের বাড়িতে।
দাসপাড়া ইউনিয়নের পুরান বাবুর্চি বাড়ি গ্রাম এলাকায় আসেন ওই তরুণী। তিনি ইন্দোনেশিয়ার সুরা বায়া বিভাগের জাওয়া গ্রামের মি. ইউ লি আন থো এর মেয়ে। একটি বেসরকারি বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন তরুণী। তার বাবাও একজন চাকরিজীবী।
বাউফলের ওই বাঙালি তরুণের নাম মো. ইমরান হোসেন। তিনি উপজেলার দাসপাড়া ইউনিয়নের পুরান বাবুর্চি বাড়ি গ্রামের দেলোয়র হোসেনের ছেলে। ইমরান পটুয়াখালী সরকারি কলেজের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিষয়ে অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্র।
ইমরান বলেন, প্রায় এক ব্ছর আগে ফেসবুকের মাধ্যমে ইন্দোনেশিয়ান মুসলিম পরিবারের সন্তান নিকি উল ফিয়ার সঙ্গে আমার পরিচয় হয়। পরিচয়ের মাধ্যমে বন্ধুত্বের একপর্যায়ে তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে গড়ায়।
নিকি উল আমার দেশ ও আমাদের কৃষ্টি ও সংস্কৃতি সম্পর্কে আমার কাছ থেকে জানে। আমার পরিবার সম্পর্কে সব কিছু জেনে আমার সঙ্গে সম্পর্কের বাস্তব রূপ দিতে চায়।
গত ১ ডিসেম্বর রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে নামলে আমি তাকে আমার গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার দাসপাড়ায় নিয়ে আসি।
নিকি উল ফিয়ার সাংবাদিকদের জানান, ইমরানের প্রতি গভীর ভালোবাসার টানে বাংলাদেশে এসেছেন তিনি। তার সঙ্গে বিবাহে আবব্ধ হতে চান। বিষয়টি তার মা বাবাকে জানিয়েই এসেছেন। এ দেশের মানুষের আতিথেয়তায় ও ভালোবাসায় মুগ্ধ নিকি উল ফিয়া।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইমরানের বাবা দেলোয়ার হোসেন বলেন, এখানে এসে নিকি উল ফিয়া ফেসবুকের মাধ্যমে তার বাবা মায়ের সঙ্গে কথা বলেছে। এখন বিয়ের সব কিছুই নির্ভর করবে নিকি উল ফিয়ার ইচ্ছার ওপর। তাদের সম্মতিতেই বিয়ে হবে।
নিকি উল ফিয়া ইন্দোনেশিয়ার সুরা বায়া বিভাগের জাওয়া গ্রামের মি. ইউ লি আন থোর মেয়ে। ওই তরুণী স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নিয়ে ইন্দোনেশিয়ার একটি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা করছেন। তার বাবাও চাকরিজীবী। নিকি উল ফিয়ার তিন ভাই দুই বোন রয়েছে।
এমটিনিউজ/এসএস