পটুয়াখালী থেকে: পঞ্চাশোর্ধ রাহিমা বেগমকে ঘরের আড়ার সঙ্গে হাত এবং খুটির সঙ্গে দুই পা বেধে প্রায় তিন ঘন্টা বেধড়ক মারধর করা হয়েছে। বর্বর নির্যাতনে তার বাম হাতের একটি আঙুল ভেঙে গেছে।
পাষন্ড রিপন খাঁ ও ছেলে বউ রাবেয়া খাতুন এমন নির্দয় বর্বর নির্যাতন চালিয়েছে রাবেয়াকে। এক পর্যায়ে অচেতন হয়ে পড়েন। এই খানেই শেষ নয়। সবশেষ ঘরের মালামাল, চাল-ডাল নিয়ে যায়। পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার বালিয়াতলী ইউনিয়নের নলবুনিয়া গ্রামের সবাই এ ঘটনায় হতবাক বনে গেছেন।
এ ঘটনায় রাবেয়া বেগম কলাপাড়া থানায় ছেলে এবং ছেলে বউয়ের নামে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগে তিনি জানান, একমাত্র ছেলে রিপন বাবলাতলা বাজারের মুদী দোকানি। তাকে আগে চার বিঘা জমি লিখে দিয়েছেন। বাকি চার বিঘা লিখে দেয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের চাপ দিয়ে আসছিল। কিন্তু তিন মেয়েসহ প্যারালাইসড স্বামী নুর হোসেনের চিকিৎসার জন্য এ জমি রয়েছে।
যা লিখে না দেয়ায় ছেলে ও ছেলে বউ গালাগালের এক পর্যায়ে আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে আট টা থেকে সাড়ে এগারটা পর্যন্ত রশিতে বেধে এমন নির্দয় নির্যাতন চালায়। চেতনা ফিরে আসলে মুখ দিয়ে কামড়ে হাতের বাধন খুলে থানায় এসে অভিযোগ দেন। বর্তমানে রাহিমা কলাপাড়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। কলাপাড়া থানার ওসি মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, লিখিত অভিযোগ দিয়েছে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
এমটি নিউজ/এপি/ডিসি