বুধবার, ০২ ডিসেম্বর, ২০১৫, ০৬:৫৫:৫৮

জীবন বাঁচাতে ওরা ১৭ জন!

জীবন বাঁচাতে ওরা ১৭ জন!

পটুয়াখালী প্রতিনিধি : কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদের স্নান সাপোর্টে নিরাপত্তায় মোবাইল ‌‘টিউব ও লাইফ জ্যাকেট’ ব্যবসা এখন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। সখের বশে সমুদ্রে গোসলে নেমে পর্যটকরা যাতে ভাটার টানে ভেসে না যায় এ জন্য একটি টহল বোটের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। এ উদ্যেগ নিয়েছে ১৭ বেকার যুবক। তাদের এ ধরনের উদ্যোগে সাধুবাদ জানাচ্ছে পর্যটকসহ স্থানীয়রা। কুয়াকাটা সাগর সৈকত ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমিতির ১৭ সদস্য। ওরা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পুঁজি সংগ্রহ করে নিজ উদ্যোগে এ ভাসমান ব্যবসা পরিচালনা করছেন। গত মাসে কুয়াকাটা সৈকতে গোসলে নেমে বরিশাল মেডিকেল কলেজের এক ছাত্র সাগরে ডুবে মারা যাওয়ার পর দূর থেকে আসা পর্যটকরা এখন নিরাপত্তা হিসেবে সাগরে গোসলে নামার আগে সাথে নিয়ে যাচ্ছেন টিউব কিংবা লাইফ জ্যাকেট। যারা টিউব বা লাইফ জ্যাকেট ছাড়া সাগরে গোসলে নামছেন তাদের সতর্ক করে দিচ্ছে মোবাইল ব্যবসায়ী ও তাদের ভলানটিয়াররা। কুয়াকাটা সাগর সৈকত ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমিতি সূত্রে জানা যায়, ‘সেইফ ট্যুরিষ্ট, সেইফ কুয়াকাটা’ এ লক্ষ্য নিয়ে ১৭ ব্যবসায়ীর রয়েছে পাঁচ শতাধিক টিউব, আড়াই শতাধিক লাইফ জ্যাকেট, দুই শতাধিক ছাতা ও বেঞ্চ। সৈকতের জিরো পয়েন্ট থেকে পূর্ব-পশ্চিমে এক কিলোমিটারের মধ্যে তারা এ ব্যবসা পরিচালনা করছেন। সমিতির সদস্যরা জানান, কমিটির সদস্যদের সন্তানরাই বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে সাগর পাড়ে ঘুরে বেড়ায়। সাগরে গোসলে নেমে যদি কেউ ভুলে দূরে চলে যায় তারা তাদের সতর্ক করেন এবং তীরে ফিরে আসতে বলেন। কেউ যদি অগোচরে গভীর সমুদ্রে ভেসে যায় ফাইবার বোট দিয়ে তাকে ফিরিয়ে আনা হয়। গত সপ্তাহেও তারা দুজনকে ফিরিয়ে এনেছেন বলে জানান। কুয়াকাটা সৈকত সাগরে গোসল নিরাপদ হলেও স্থানীয়দের এ উদ্যোগ প্রশংসনীয় বলে জানান আগন্তকরা। সমিতির সভাপতি বেলাল খলিফা জানান, কুয়াকাটা সৈকতে আগে ছড়িয়ে ছিটিয়ে এ ব্যবসা পরিচালিত হলেও এখন সংঘবদ্ধভাবে করা হচ্ছে। সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে টিউব, লাইফ জ্যাকেট রাখার ব্যবস্থা করা রয়েছে। কুয়াকাটায় যারা ভ্রমণে আসছেন তাদের সমুদ্র স্নান যাতে নিরাপদ হয় এবং কোনো বিপদে যাতে না পড়ে সেদিকে সর্বদা খেয়াল রাখা হচ্ছে। ২ ডিসেম্বর,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এমআর/এসএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে