সোমবার, ০৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১০:৩৫:২২

রেক'র্ড কম দামে বিক্রি হচ্ছে ইলিশ!

রেক'র্ড কম দামে বিক্রি হচ্ছে ইলিশ!

নিউজ ডেস্ক : জেলেদের জালে ঝাঁ'কে ঝাঁ'কে ধ'রা পড়ছে বড় আকারের রুপালি ইলিশ। গত কয়েক দিন ধরে বঙ্গোপসাগরে জেলেদের জালে ধ'রা পড়ছে প্রচুর ইলিশ। পটুয়াখালীর কুয়াকাটার মহিপুর-আলীপুর মৎস্য বন্দরে এসে ভিড়ছে ট্রালারভর্তি ইলিশ। বেশি পরিমাণ ইলিশ ধ'রা পড়ায় দামও কমেছে। সোমবার (০৭ সেপ্টেম্বর) মহিপুর-আলীপুর মৎস্য বন্দরে রেক'র্ড কম দামে বিক্রি হচ্ছে  অর্থাৎ ২৫০ টাকা কেজিতে ইলিশ বিক্রি হয়েছে।

মহিপুর মৎস্য বন্দরে ইলিশ বিক্রি করতে আসা কলাপাড়ার ধানখালী ইউনিয়নের গোলবুনিয়া গ্রামের জেলে জয়নাল ফকির বলেন, প্রতিদিন সকালে আলীপুর-মহিপুর মৎস্য বন্দরে ইলিশ নিয়ে অনেকগুলো ট্রলার ভিড়ছে। প্রচুর পরিমাণ ইলিশ ধ'রা পড়ায় দামও কমেছে। ১৫ দিন আগে প্রথম গ্রেডের অর্থাৎ এক থেকে দেড় কেজি ওজনের ইলিশের মণ ছিল ৪০ হাজার টাকা; বর্তমানে ২৪ হাজার টাকায় কিনছেন আড়তদাররা। দ্বিতীয় গ্রেডের অর্থাৎ ৭০০ থেকে ৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের মণ ছিল ৩০ হাজার টাকা; তা এখন ১৫-১৭ হাজার টাকায় কিনছেন আড়তদাররা। মাছ বেশি ধ'রা পড়ায় দাম কমে গেছে। তবে কয়েকদিন পর দাম বেড়ে যাবে।

পটুয়াখালী সদর উপজেলার পায়রাগঞ্জ এলাকার জেলে মালেক মিয়া বলেন, নদীতে আগের চেয়ে ইলিশ বেড়েছে। ইলিশ বেশি ধ'রা পড়ায় এখন দামও কম। সোমবার সকালে ৩০০-৪০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের কেজি ২৫০-৩০০ টাকা বিক্রি করেছি।

সদর উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা মো. নাসির উদ্দীন বলেন, জেলেদের একেকটি জালের দাম ৫০ হাজার টাকা। নি'ষেধা'জ্ঞার সময় এসব জাল আ'টক করতে গেলে জেলেরা হা'মলা চা'লায়। আগে ইঞ্জিনচালিত ট্রলারে অভি'যানে যেতে হতো। এখন স্পিডবোটে দ্রুত সময়ে অভি'যানে যাওয়া যায় এবং বেশি এলাকা পরিদর্শন করা যায়। তবে এখন জেলেরা অনেক সচেতন হয়েছেন। দু’একজন ছাড়া বাকি জেলেরা অবরো'ধের সময় মাছ ধ'রেন না। নি'ষেধা'জ্ঞার সময় না ধ'রায় ইলিশের উৎপাদন বেড়েছে। এজন্য ঝাঁ'কে ঝাঁ'কে ধ'রা পড়ছে রুপালি ইলিশ। এটিই মৎস্য বিভাগের সফলতা।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে