পঞ্চম বিয়েতে সম্মতি না দেওয়ায় চতুর্থ স্ত্রী সালমা বেগমকে (৩৫) কু'পিয়ে হাতের আ'ঙ্গুল কে'টে দিয়েছে বিয়ে পাগল স্বামী মোকলেস মাতবর। পুলিশ বিয়ে পাগল মোকলেসকে গ্রেপ্তার করে আজ বুধবার (১১ আগস্ট) আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল মঙ্গলবার রাতে উপজেলার পাতাকাটা গ্রামে।
পুলিশ ও আহত স্ত্রীর স্বজনরা জানায়, উপজেলার পাতাকাটা গ্রামের হাতেম আলী মাতবরের ছেলে মোকলেস মাতবর এ পর্যন্ত চারটি বিয়ে করেছেন। বিয়ে পাগল এই ব্যক্তি সর্বশেষ চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে চতুর্থ স্ত্রী হিসেবে পটুয়াখালী জেলার বোতলবুনিয়া গ্রামের মোনসেফ সিকদারের মেয়ে সালমাকে বিয়ে করেন। বিয়ে করার সময় স্ত্রী সালমাকে ৮ শতাংশ জমি লিখে দেয় স্বামী মোকলেস।
সম্প্রতি তিনি আবার পঞ্চম বিয়ে করার উদ্যোগ নিয়ে চতুর্থ স্ত্রীর কাছে সম্মতি ও তাকে দেওয়া জমি বিক্রি করে টাকা দাবি করেন। চতুর্থ স্ত্রী সালমা সম্মতি ও টাকা দিতে অস্বীকার করেন। এতে ক্ষি'প্ত হয়ে স্বামী মোকলেস স্ত্রী বাড়িতে না থাকার সুযোগে গত বৃহস্পতিবার রাতে নিজের ঘরের সিদ কে'টে শ্বশুর বাড়ির দেওয়া সমুদয় মালামাল চু'রি করে নিয়ে যান।
এরপর গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে স্ত্রী সালমা বাড়িতে এসে ঘরে মালামাল না পেয়ে স্বামী মোকলেসের কাছে জানতে চায়। তিনি এর কোনো উত্তর না দিয়ে বিয়ের সম্মতি, টাকা ও মালামাল নিয়ে কয়েক দফায় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝ'গড়ার সৃষ্টি হয়। ঝগড়ার এক পর্যায়ে ওইদিন রাত আনুমানিক ১০টার দিকে স্বামী মোকলেস ক্ষি'প্ত হয়ে স্ত্রী সালমাকে ধা'রাল অ'স্ত্র দিয়ে কু'পিয়ে ডান হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলি কে'টে বি'চ্ছি'ন্ন করে দেয়।
সংবাদ পেয়ে স্বজনরা দ্রুত তাকে উদ্ধার করে রাত ১১টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসে। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মো. শাহাদাত হোসেন তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। বর্তমানে সেখানেই তিনি ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। স্বজনরা ওইদিন রাতেই বিয়ে পাগল মোকলেসকে ধ'রে পুলিশে সোপর্দ করেছেন।
এ ঘটনায় আজ বুধবার আহত স্ত্রী সালমার বাবা মোনসেফ সিকদার বাদী হয়ে মোকলেসকে আসামি করে আমতলী থানায় মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ তাকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ বুধবার দুপুরে উপজেলা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রেরণ করলে আদালতের বিজ্ঞ বিচারক তাকে জেলহাজতে পাঠনোর নির্দেশ দেয়।