এমটি নিউজ ডেস্ক : পটুয়াখালীর বাউফলে মাত্র ২০ মিনিটের ঝড়ের তাণ্ডবে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। মুহুর্তে অর্ধশত ঘরবাড়ি বিধ্বস্তসহ অনেক গাছপালা ভেঙে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে যোগাযোগ ব্যবস্থা।
রোববার দুপুর আড়াইটার দিকে উপজেলার কেশবপুর ইউনিয়নের মমিনপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, রোববার সারাদিনই উপজেলার সর্বত্র মূষলধারে বৃষ্টিপাত হয়। বৃষ্টির কারণে জনজীবনে নেমে আসে স্থবিরতা।
দুপুর আড়াইটার দিকে প্রচণ্ডগতিতে ঝড় শুরু হয় উপজেলার কেশবপুর ইউনিয়নের মমিনপুর গ্রামে। ২০ মিনিট স্থায়ী ঝড়ের তাণ্ডবে গ্রামের অর্ধশত ঘরবাড়িসহ প্রায় শতাধিক গাছপালা উপড়ে পড়েছে। বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। গাছ উপড়ে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা নিজ উদ্যোগে যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু করেন।
মমিনপুর গ্রামের দিনমজুর গোলাম মোস্তফা বলেন, সারাদিন মূষলধারে বৃষ্টি হওয়ার কারণে কাজ না করে ঘরেই ছিলাম। হঠাৎ দুপুর আড়াইটার দিকে অল্প সময়ের ঝড়ে আমার সব শেষ হয়ে গেছে। মাথা গোঁজার ঠাঁইটুকু শেষ। এখন হয় কোনো আশ্রয় কেন্দ্রে থাকতে হবে না হয় খোলা আকাশের নিচে।
ফরিদ দফাদার নামে এক হতদরিদ্র বলেন, এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে আমার ঘরটির নির্মাণকাজ শুরু করেছি। অথচ কয়েক মিনিটের ঝড়ে স্বপ্নের ঘরটি শেষ হয়ে গেল।
স্থানীয় উদ্ধারকর্মী গোলাম আবু সাইদ সাংবাদিকদের বলেন, মাত্র ১৫ থেকে ২০ মিনিট ঝড়টি স্থায়ী ছিল। ঝড়ে এই গ্রামের অন্তত ৪০টি বসত ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। ঝড় শেষ হওয়ার পরপরই আমরা স্থানীয় কয়েক যুবক সড়কের ওপর গাছ কেটে সড়ক চলাচলের চেষ্টা করেছি। পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্তদের উদ্ধার কাজে সহায়তা করছি।
পটুয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বাউফল জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার সোহরাব হাসান সাংবাদিকদের বলেন, ঝড়ের কারণে উপজেলার সর্বত্র বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। ঝড়ে মমিনপুর গ্রামের বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের ৮টি খুঁটি উপড়ে পড়েছে। আমাদের কর্মীরা ক্ষতিগ্রস্ত সঞ্চালন লাইন মেরামতের চেষ্টা করছেন। আমরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করার চেষ্টা করছি।
বাউফল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আল আমিন বলেন, ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের প্রাথমিক সব ধরনের সহায়তা করা হবে। পাশাপাশি প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।