এমটিনিউজ ডেস্ক : স্প্যানিশ পোটার। এই জাতের এক জোড়া কবুতরের দাম ৮০ হাজার টাকা। শুধু এই জাতই নয়, বাড়ির ছাদে বিভিন্ন জাতের কবুতরের খামার করে স্বাবলম্বী হয়েছেন পটুয়াখালীর কলাপাড়ার এক যুবক। তার সাফল্য দেখে বর্তমানে কবুতরের খামার গড়তে আগ্রহী হচ্ছেন অনেকে।
পটুয়াখালীর কলাপাড়া পৌর শহরের ইসলামিয়া সড়কের সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে নাইম ইসলাম নিরব (২৮)। প্রথমে ২০২১ সালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কালো লাহুরী জাতের কবুতর দেখেন এই যুবক। পরে শখের বসে চট্টগ্রাম থেকে এই জাতের কবুতর সংগ্রহ করেন তিনি। এর কয়েক দিন পর নিজ বাড়ির ছাদে বাণিজ্যিকভাবে গড়ে তোলেন কবুতরের খামার।
বর্তমানে তার খামারে রয়েছে সাদা রেসার, ব্লুবার লেস, কালো লাহুরী, আফসান গ্রিন, রেড চেকার ও স্পানিশ পোটার সহ প্রায় ২০ জাতের ২০০ জোড়া কবুতর। এর মধ্যে স্প্যানিশ পোটার রয়েছে ১৫ জোড়া। এ জাতের কবুতর তিনি বিক্রি করছেন ৮০ হাজার টাকা জোড়া হিসেবে। এ সব কবুতর বিক্রি করে তার মাসে খরচ বাদে আয় হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা। নিয়ম মাফিক ঔষধ প্রদান এবং পরিচর্চায় এমন সফলতা বলে জানিয়েছেন নাইম।
ওই এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা ছলেমান মুন্সী বলেন, ‘কবুতর ঠিকভাবে পালন করতে পারলে ভালো লাভবান হওয়া যায়, এটা সবাই জানি। কিন্তু নাইমের সফলতা অনেক বেশি। কারণ তার সংগ্রহে ৮০ হাজার টাকা জোড়া দামের কবুতরও রয়েছে। যেটা এই খামারে না আসলে কেউ বিশ্বাস করবে না।’
একই এলাকার অপর যুবক মাহবুবুল আলম বলেন, ‘নাইম সফল কবুতর খামারি। তার খামারে প্রায়ই আমরা যাই। তার সংগ্রহে অনেক বেশি দামের কবুতর রয়েছে। আমিও তার দেখাদেখি কবুতর খামার করতে চাই। তার কাছ থেকে এখন পরামর্শ নিচ্ছি।’
কবুতর খামারি নাইম ইসলাম নিরব বলেন, ‘মূলত শখের বসেই কবুতর পালন শুরু করেছিলাম। পরে ভালো লাভবান হওয়ায় কবুতর খামার গড়ে তুলি। বর্তমানে আমার খামারে ২০০ জোড়ার বেশি কবুতর রয়েছে। এর মধ্যে স্প্যানিশ পোটার অন্যতম। কারণ কবুতরের সকল বৈশিষ্ট এই কবুতরের মধ্যে রয়েছে, তাই এগুলো ৮০ হাজার টাকা জোড়া হিসেবে বিক্রি করছি। আমার খামার দেখতে অনেকেই ভিড় জমায়। আমি তাদের কবুতরের খামার গড়তে উৎসাহিত করি।’
পটুয়াখালী জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সঞ্জিব কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘জেলায় ছোট বড় প্রায় ১৫০টি কবুতরের খামার রয়েছে। এর মধ্যে কলাপাড়ার নাইমেরটা অন্যতম। আমরা তাকে সহ সকল কবুতর খামারিকে পরামর্শ দিয়ে আসছি। নুতন করে যারা কবুতর পালনে আগ্রহী, তাদের পরামর্শসহ প্রশিক্ষণের আওতায় নিয়ে আসা হবে।’