এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : পটুয়াখালীর আলীপুর-মহিপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে সমুদ্র থেকে ফেরা ট্রলার ও মাছ আড়তের ব্যস্ততা চোখে পড়ছে। তবে এই মরশুমেও বড় ইলিশের অভাব দেখা দিয়েছে। বর্তমানে বাজারে মূলত ৩০০ থেকে ৫০০ গ্রামের ছোট ইলিশ বিক্রি হচ্ছে।
ভোররাত থেকে বড় ট্রলার গভীর সমুদ্র থেকে ফেরে, পন্টনে নোঙর করে এবং লেবাররা মাছ ওঠানোর জন্য প্রস্তুত থাকে। আড়তদাররা হিসাব কষছেন, পাইকাররা দ্রুত মাছ ঢাকায় পাঠানোর ব্যস্ততায়। তবে বড় ইলিশের সংখ্যা সীমিত থাকায় হতাশ জেলেরা।
শুক্রবার সকালে ঘাটে দেখা যায় মোট ৩০ থেকে ৩৫টি আড়তে মাছ বিক্রি হচ্ছে। প্রতিটি আড়তে ৩-৪টি ট্রলার মাছ বিক্রি করে। এসব ট্রলার মূলত আলীপুরের নয়; অনেকগুলো চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বাঁশখালী, ভোলা, নোয়াখালী, সন্দীপ, হাতিয়া ও দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এসেছে।
জেলেরা জানিয়েছেন, কয়েক বছর ধরে বড় মাছ কমে আসছে। অবৈধ ট্রলিং ও সাগরের পরিবেশগত পরিবর্তনের কারণে বড় মাছ ধরা কম হয়েছে। তবে প্রশাসন কিছু ট্রলিং বন্ধ করার ফলে সামান্য বড় মাছের দেখা মিলছে।
আলীপুর মৎস্য ব্যবসায়ী মো. রাসেল বলেন, “বর্তমানে জেলেরা মূলত ৩০০-৪০০ গ্রামের ছোট মাছ পায়। এক মন মাছের দাম ১৫,৫০০ থেকে ২০,০০০ টাকা পর্যন্ত।”
এক ব্যবসায়ী ইউনুস আরও জানান, “এ ঘাটের বড় মাছ সুস্বাদু এবং চাহিদা বেশি, তবে এখন দেখা নেই। কিছু নরম বা সামান্য পচা মাছ কিনেছি কেজি প্রতি ২৫০ টাকায়।”
জেলেদের তথ্য অনুযায়ী, ১ কেজি ওজনের ইলিশ এক লাখ টাকার ওপরে বিক্রি হয়েছে। ৭-৮ শো গ্রামের ইলিশ ৮০-৮৫ হাজার টাকায়, ৫-৬ শো গ্রামের মাছ ৬০-৭৫ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে।
আলীপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের আড়তদার মো. কামাল ব্যাপারী বলেন, “৩৫টি আড়তে দৈনিক ২-৩টি ট্রলার মাছ বিক্রি করে। বড় মাছের অভাবের কারণ হলো উপকূলের চর প্রভাবে মাছের অভয়শ্রম পরিবর্তন।”
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, “বর্তমানে জেলেদের জালে ছোট ইলিশ ধরা পড়ছে। আবহাওয়া জনিত কারণে গভীর সমুদ্র যেতে অনেক সময় যাচ্ছে না। তবে গভীর সমুদ্রে গেলে বড় মাছের দেখা মিলবে। জাটকা ইলিশের অবরোধকাল পহেলা নভেম্বর থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত।”