মঙ্গলবার, ০৫ এপ্রিল, ২০১৬, ০৩:০৫:১৯

অটো-রিক্সা চালকের ব্যাংক একাউন্টে ১০ হাজার কোটি টাকা!

অটো-রিক্সা চালকের ব্যাংক একাউন্টে ১০ হাজার কোটি টাকা!

পটুয়াখালী : পটুয়াখালীর লোহালিয়া নদীতীরের বাসিন্দা সোহাগ ফকির (২৭)। পেশায় অটো রিক্সা (ইজিবাইক) চালক। শহরের জনতা ব্যাংকে তার একটি সঞ্চয়ী হিসাব খোলা আছে। সম্প্রতি ওই হিসাবে পাঁচ ঘণ্টার জন্য জমা হয় ১০ হাজার ৪২ কোটি ২০ লাখ ৪২ হাজার ৭৬ টাকা।

অর্থাৎ ওই কয়েক ঘণ্টার জন্য বিশ্বের ধনী ব্যক্তিদের কাতারে চলে যান সোহাগ। এরপর সেই টাকা সরিয়ে নেওয়া হলে সোহাগ সেই ইজিবাইকচালকই হয়ে যান। বর্তমানে তার ব্যাংক হিসাবে আছে এক হাজার ১১ টাকা ৮৩ পয়সা।

ঘটনাটি ঘটে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি। ধারণা করা হচ্ছে, ব্যাংকের সফটওয়্যারের ভুলে তার হিসাবে হাজার কোটি টাকা যোগ হয়। টাকাগুলো আসে ওই ব্যাংকেরই অন্য এক শাখা থেকে।

পটুয়াখালীর লোহালিয়া ইউনিয়নের কাঁকড়া বুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা সোহাগ ফকির। তিনি জানান, গত বছরের মাঝামাঝিতে তিনি জনতা ব্যাংক পটুয়াখালী শাখায় একটি সঞ্চয়ী হিসাব খোলেন।

ওই হিসাবে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি জনতা ব্যাংকের সিরাজগঞ্জ বাঘাবাড়ী ঘাট শাখা থেকে অনলাইনে ১০০ টাকা জমার কাগজ আসে। কিন্তু বিকেলে সেই টাকা পোস্টিং দিতে গিয়ে পটুয়াখালী শাখা রীতিমতো অবাক হয়। দেখা যায়, ওই হিসাবে ১০ হাজার ৪২ কোটি ২০ লাখ ৪২ হাজার ৭৬ টাকা জমা হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে পটুয়াখালী শাখা থেকে বিষয়টি বাঘাবাড়ী ঘাট শাখায় জানানো হয়।

জনতা ব্যাংকের পটুয়াখালী প্রধান শাখার ব্যবস্থাপক ফরিদ আহম্মদ জানান, সফটওয়্যারের ভুলের কারণে এ অস্বাভাবিক ঘটনা ঘটেছে। ব্যালান্স যাচাইয়ে বিষয়টি ধরা পড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়। ওই দিনই বিকেল ৪টার দিকেই সংশোধনের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

ফরিদ আহম্মদ জানান, এ ব্যাপারে সোহাগের কাছে জানতে চাওয়া হয়। সোহাগ জানান, এ ধরনের কোনো লেনদেন তিনি করেননি। তার পরও ব্যাংক হিসাবটির সব রকমের লেনদেন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

জনতা ব্যাংকের আইসিটি ডিপার্টমেন্টের দায়িত্বে থাকা উপমহাব্যবস্থাপক শেখ মো. জামিনুর রহমান বলেন, ‘এটা সাধারণ একটা ভুল। ব্যাংকের দৈনন্দিন কাজে এ রকম ভুল হয়। প্রতিদিন সন্ধ্যার মধ্যেই এ ধরনের ভুল সংশোধন করে প্রতিটি শাখার হিসাব মেলানো হয়। এখানে যে ঘটনাটি ঘটেছে, তা আমাদের ইউজার এন্ট্রির ভুলের কারণে। সফটওয়্যারের ভুলে নয়। টাকার অঙ্কটা অস্বাভাবিক ছিল; কিন্তু সন্ধ্যার মধ্যেই আমরা ভুলটা ধরতে পারি এবং সেটা সংশোধন করি।’

প্রসঙ্গত, প্রতিটি ব্যাংক শাখায় কর্মকর্তাদের কাজের সুবিধার্থে আলাদা আলাদা ইউজার আইডি দেওয়া হয়। বাঘাবাড়ী ঘাট শাখার এক কর্মকর্তার ইউজার আইডি থেকে এ ধরনের ভুল এন্ট্রি করা হয়। -কালেরকণ্ঠ
৫ এপ্রিল, ২০১৬/এমটি নিউজ২৪/এসবি/এসএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে