পিরোজপুর : পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় বীমার টাকার জন্য নিজের মেয়েকে হত্যা করেছেন পাষণ্ড পিতা। পিরোজপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এস এম জিল্লুর রহমান রোববার জেসমিনে নামে ওই শিশুটিকে হত্যার দায়ে তার বাবা মহারাজকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন।
মৃত্যুদন্ড পাওয়া মহারাজ হাওলাদার মঠবাড়িয়া উপজেলার ছোট শিংগা গ্রামের আলী হোসেন হাওলাদারের ছেলে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ছোট শিংগা গ্রামের মহারাজের আট বছরের শিশু কন্যা জেসমিনের নামে ১ লাখ ২০ হাজার টাকার একটি বীমা করেন শিশুর মামা।
বীমার একটি কিস্তি হিসেবে এক হাজার টাকা পরিশোধও করেন মহারাজ। ২০০৫ সালের ৪ মে রাতে জেসমিন আক্তারকে শ্বাসরোধে হত্যা করে বাড়ির পাশে একটি খালে ফেলে দেয় তার বাবা।
এরপর জেসমিন পানিতে ডুবে মৃত্যু হয়েছে জানিয়েছে বীমা প্রতিষ্ঠানের কাছে টাকা দাবি করেন তার বাবা।
ভাগ্নির মৃত্যুর খবর পেয়ে তার মামা আব্দুস সালাম থানায় খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পিরোজপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে জেসমিন আক্তারকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।
ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর ওই বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর মঠবাড়িয়া থানার এসআই মোস্তাফিজুর রহমান বাদী হয়ে মহারাজের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
সরকার পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন সরকারি কৌঁসলি (পিপি) খান মো. আলাউদ্দিন ও সহকারী সরকারি কৌঁসলি (এপিপি )জহিরুল ইসলাম।
আপরদিকে, রোববার একই আদালত আকলিমা নামে এক গৃহবধুকে হত্যার দায়ে স্বামী সেলিম বেপারিকে (৩৫) যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে এক বছরের সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছে আদালত।
যাবজ্জীবন কারাদন্ড পাওয়া সেলিম বেপারি মঠবাড়িয়া উপজেলার তেতুলবাড়িয়া গ্রামের মৃত সেকেন্দার আলী বেপারির ছেলে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০০৯ সালের ৮ জুলাই ভোরে দাম্পত্য কলহের জের ধরে সেলিম বেপারি তার স্ত্রী আকলিমাকে পিটিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই আবুল কালাম বাদী হয়ে মঠবাড়িয়া থানায় হত্যা মামলা করেন। -যুগান্তর।
৩১ অক্টোবর, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএম