পিরোজপুর : পিরোজপুরের জিয়ানগর উপজেলার নাম পরিবর্তন করে ইন্দুরকানী নামকরণের গেজেট প্রকাশ করেছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়। গত বুধবার স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ (উপজেলা-১ শাখা) এর প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। বৃহস্পতিবার নাম পরিবর্তনের একটি আদেশ উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ে এসে পৌঁছায় ।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নুরুল হুদা জানান, জিয়ানগর উপজেলার নাম পরিবর্তণ করে ইন্দুরকানী উপজেলা নামকরণের গেজেট তিনি বৃহস্পতিবার হাতে পেয়েছেন।
গত ৯ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির (নিকার) এক সভায় পিরোজপুরের উপজেলা জিয়ানগরের নাম পরিবর্তন করে ইন্দুরকানী থানার নামে নামকরণের প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়। মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ সফিউল আলম এক প্রেস ব্রিফিংয়ে নাম পরিবর্তনের কারণ উল্লেখ করে ওই সময় বলেন, একই জায়গায় থানার নাম ইন্দুরকানী হলেও উপজেলার নাম ছিল জিয়ানগর। ফলে দুটি পৃথক নাম হওয়ায় জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়। আর এই বিভ্রান্তি দূর করতেই থানা ও উপজেলার নাম একই করে ইন্দুরকানী করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিগত বিএনপি জামায়াত জোট সরকারের আমলে ২০০২ সালের ২৭মার্চ নিকার কমিটির ৮৭তম বৈঠকে পিরোজপুরের ইন্দুরকানী থানাকে জিয়ানগর উপজেলা নামে নামকরণের প্রস্তাব আনা হয়। এরপর ২০০২ সালের ১৭ এপ্রিল তৎকালীন রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে পিরোজপুর সদর উপজেলার পত্তাশী, পাড়েরহাট ও বালিপাড়া এ ৩টি ইউনিয়নের ৯২.৫৫ বর্গ কিলোমিটার আয়তন নিয়ে জিয়ানগর উপজেলা নামে একটি নতুন প্রশাসনিক উপজেলা গঠন হয়।
এই আদেশের বলে ২০০২ সালের ২১ এপ্রিল তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া পিরোজপুর সফরকালে ইন্দুরকানীতে গিয়ে জিয়ানগর উপজেলার উদ্বোধন করেন। ১৯৮০ সালের ২৮ জুলাই সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের শাসনামলে বরিশাল জেলার পিরোজপুর মহকুমার পিরোজপুর থানার ইন্দুরকানি নৌ থানাকে পূর্ণাঙ্গ থানায় রূপান্তরিত করা হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ইন্দুরকানীকে জিয়ানগর নামকরণের বিষয়ে ভূমিকা রেখেছিলেন যুদ্ধাপরাধ মামলায় আমৃত্যু কারাদণ্ড পাওয়া পিরোজপুর -১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য জামায়াত নেতা মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী।
১১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএম