পিরোজপুর থেকে: হাঁটু মুড়ে বসে আছেন সাদা চুলের এক বৃদ্ধ। আর তার কাঁধে বসে আছেন এক যুবক। তার কানে আবার মোবাইল ফোন। নির্বিকারভাবে সেই বয়স্ক লোকটির কাঁধে বসে থেকেই ছবির জন্য পোজ দিলেন।
অন্যদিকে সেই যুবকের ভারে হাত দিয়ে মেঝেতে ঠেস দিয়ে বসে আছেন বৃদ্ধটি। ফেসবুকে প্রকাশের পরপরই ছবিটি ভাইরাল হয়ে গেছে। ছবিটি নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা-সমালোচনার ঝড়।
তবে বৃদ্ধার ঘাড়ে বসে আয়েসী ভঙ্গিতে মোবাইলে কথা বলা লোকটির পরিচয় মিলেছে। তার নাম মাইনুল ইসলাম। ঘৃণ্য এ ছবিটি এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
জানা যায়, মাইনুল পিরোজপুর জেলার ৫৬ নং মঠবাড়িয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক। তিনি মঠবাড়িয়া পৌর মেয়র মো. রাফিউদ্দিন ফেরদৌসের ভাগিনা। বিদ্যালয়ের একজন প্রধান শিক্ষক হয়ে তিনি কীভাবে এ কাজটি করতে পারলেন তা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশ্ন ওঠেছে।
একটি জাতীয় দৈনিকের সিনিয়র রিপোর্টার তার এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, এর মতো মানুষ কোনো দিন শিক্ষক হিসেবে শিক্ষার্থীদের সুশিক্ষা দিতে পারে না।
এক বৃদ্ধের কাঁধে চেপে বসে যুবকের মোবাইলে কথা বলার একটি অমানবিক ছবি বৃহস্পতিবার থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়।
সেখানে দেখা যায়, নির্বিকার সাদা চুলের সেই বয়স্ক লোকটির কাঁধে বসে থেকে ছবির জন্য পোজ দিলেন জ্ঞানকাণ্ডহীন যুবক। ওদিকে শীর্ণকায় বয়স্ক মানুষটি যে যন্ত্রণায় অনেক কষ্ট পাচ্ছিলেন সেটা স্পষ্টতই বোঝা যাচ্ছে। হাত দিয়ে ফ্লোরে ঠেস দিয়ে বসেছিলেন তিনি।
ছবিটি নিয়ে চলছে বেশ আলোচনা সমালোচনা। হমায়ুন কবির নামে এক ফেসবুক ব্যবহারকারী তার ওয়ালে ছবিটি শেয়ার করেছেন। সেখানে বেশ উত্তপ্ত মন্তব্য করতে দেখা যায় তার ফেসবুক বন্ধুদের। মনজুরুল হাসান নামে এক ফেসবুক ব্যবহারকারী সেখানে মন্তব্য করেন: মানুষ নামের কলঙ্ক।
ইয়াসমিন আহমেদ নামে অপর একজন মন্তব্য করেন, ছোটলোক, ইতর। মনিরুল ইসলাম মনির বলেন, ভাই এদের হিতাহিত জ্ঞান বলতে কিছু নেই। মানুষ রূপে জানোয়ার।
২৬ মে ২০১৭/এমটিনিউজ২৪ডটকম/আ শি/প্রতিনিধি