পিরোজপুর থেকে : ভাঙা হাত রেখে ভালো হাত প্লাস্টার করল হাসপাতালের কর্মচারী। এই ঘটনা ঘটেছে পিরোজপুর সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে।
শুধু তাই নয় ওই হাতটি প্লাস্টার করে দেয়ার জন্য আলাদাভাবে টাকাও নেয়া হয়েছে। ভুল হাত প্লাস্টার করা ও টাকা নেয়ার ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর ক্ষমা চেয়েছেন হাসপাতালের কর্মচারী দিপক।
জানা যায়, রোববার সকালে সদর উপজেলার হরিনাগাজীপুর গ্রাম থেকে এক বছরের শিশু লামিয়া পিরোজপুর সদর হাসপাতালে আসে তার ভেঙে যাওয়া বাম হাতের প্লাস্টার খুলতে। এসময় জরুরী বিভাগে ডা. ইশতিয়াক ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী দিপক উপস্থিত ছিলেন।
সেখানে দিপক শিশুটির হাতের প্লাস্টার খুলে জানায়, হাতের ভাঙাটি ঠিকমতো জোড়া লাগেনি, তাই পুনরায় প্লাস্টার করতে হবে। এরপর শিশু লামিয়ার ভাঙা হাত রেখে ডান হাতটি প্লাস্টার করে দেয়। এসময় শিশুটির মা বার বার বললেও শুনেনি দিপক।
শিশুটির মা ফাতেমা জানায়, সপ্তাহ খানেক আগে এই হাসপাতালেই লামিয়ার ভাঙা বাম হাতটি প্লাস্টার করে নিয়ে গেছি। আজ তারা ডান হাত প্লাস্টার করে দিল। বার বার বলার পর শুনল না। এর আগেও প্লাস্টার বাবদ ২শ টাকা নিয়েছে। আজও দিতে হলো। এ ঘটনায় চিকিৎসক ইশতিয়াক আহমেদ জানান, বিষয়টি শুনেছি ব্যবস্থা নিতে হবে।
এমটিনিউজ২৪/এম.জে/এস