পিরোজপুর: মালিতে নিহত সেনাবাহিনীর ওয়ারেন্ট অফিসার আবুল কালাম আজাদের স্ত্রী ও সন্তানদেরকে এখনো কিছু জানানো হয়নি। শুধু কালাম দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। এ ভাবেই কথাগুলো বলেন, ‘নিহত কালামের চাচাতো ভাই ড. ফিরোজ কিবরিয়া।’
নিহত ওয়ারেন্ট অফিসার আবুল কালামের বাড়ি পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার কলারদোয়ানিয়া ইউনিয়নের উত্তর কলারদোনিয়া গ্রামে।
ফিরোজ কিবরিয়া আরও বলেন, ‘গত রাতেই আমরা জানতে পারি মালিতে কালামসহ চার বাংলাদেশি নিহত হয়েছে। এর পর থেকে কালামের বাড়ির ডিশ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়েছে। তার স্ত্রীর কাছ থেকে মোবাইল ফোনও সরিয়ে রাখা হয়েছে। তাদের শুধু দুর্ঘটনায় কালাম আহত হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।’
তিনি জানান, কালামের বাবা-মা অনেক আগেই মারা গেছেন। বাড়িতে তার স্ত্রী সন্তান ও ষাটোর্ধ এক শারীরিক প্রতিবন্ধি বোন আছেন। কালামের স্ত্রী খাদিজা বেগম স্থানীয় মুগারজোর বালিকা দাখিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষিকা। মেয়ে আসনিকা আজাদ ইমু মুগারজোর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পড়ে এবং ছেলে ফারদিন আজাদ বৈঠকাটা মাতৃছায়া কিন্ডার গার্টেনে চতুর্থ শেণিতে পড়ে।
কলারদোয়া নিয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. আবু সাইম জানান, কালাম ১৯৯০ সালে কলারদোয়ানিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাশ করেন। এরপর সে ১৯৯২ সালে সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন। কালামকে আমরা সবাই একজন সদালাপী মানুষ হিসাবে জানতাম। গেল রমজানের ঈদে তার সঙ্গে আমার দেখা হয়েছে। এরপর সে মিশনে চলে যায়। তার এই অস্বাভাবিক মৃত্যুতে পুরো গ্রাম শোকে স্তব্ধ।
এমটিনিউজ২৪.কম/এইচএস/কেএস