প্রেমের মর্মান্তিক পরিণতি
পিরোজপু র : পিরোজপুরের জিয়ানগরে এক প্রাইমারি স্কুলশিক্ষিকা প্রেমিকসহ গণধোলাইয়ের শিকার হয়েছে। ওই প্রেমিকের দুটি চোখ নষ্ট করে দিয়েছে শিক্ষিকার স্বামী ও তার বাবা।
বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন আলাল গাজীর বাসায় এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় প্রেমিক রুহুল আমিন মিঠুকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত প্রেমিকের নাম শেখ রুহুল আমিন মিঠু। তিনি মোড়েলগঞ্জ উপজেলার খারইখালি গ্রামের ইসমাইল আলী শেখের ছেলে। প্রেমিকা রুমি আফরিন উপজেলার পত্তাশী গ্রামের কেএম মোসলেম উদ্দিনের ছোট মেয়ে। তিনি পত্তাশী বোর্ড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার বিকেলে আফরিন তার স্বামীকে রেখে প্রেমিক রুহুল আমিন মিঠুকে নিয়ে উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন ইন্দুরকানী গ্রামের আলাল গাজীর বাসার যায়। ওই শিক্ষিকার স্বামী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক রফিকুল ইসলাম তার স্ত্রীকে না পেয়ে তার শ্বশুরকে নিয়ে বিভিন্ন স্থানে খুঁজে কিন্তু পায়না। এরপর এলাকাবাসীর সহায়তায় ওই বাসায় তাদের দুজনকে পেয়ে প্রেমিককে পিটিয়ে তার দুই চোখ নষ্ট করে দেয়। শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে।
খবর পেয়ে জিয়ানগর থানা পুলিশ প্রেমিক রুহুল আমিনকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায় এবং প্রেমিকা রুমি আফরিন, স্বামী রফিকুল ইসলাম, তার বাবা মোসলেম উদ্দিনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। পরে রাতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনক সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন ওই শিক্ষিকা তার স্বামী ও বাবাকে ছাড়িয়ে নিয়ে যান।
অভিযুক্ত শিক্ষিকার মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তার খালা রেনু আক্তার জানান, রুমি বাসায় নাই। তবে এ ধরনের একটি ঘটনা শুনেছি।
জিয়ানগর থানার ওসি মিজানুল হক জানান, শিক্ষিকা রুমি আফরিনের প্রেমিকাকে উদ্ধার করে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে এবং রুমি আফরিনসহ অন্যদের উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা মোয়াজ্জেম হোসেনের জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, রাতে থানা থেকে আমাকে ফোন করে আমার জিম্মায় ওই শিক্ষিকা তার স্বামী ও বাবাকে দিয়ে দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে এলাকাব্যাপী ছাড়াও শিক্ষক মহলে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত প্রেমিক রুহুল আমিন দুটি চোখ দিয়ে দেখতে পারছেন না বলে জানা গেছে।
৫ ডিসেম্বর,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এসএম/ডিআরএ