পিরোজপুর থেকে : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইসলামের জন্য সাহসী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। তার দৃঢ় সিদ্ধান্তে বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রথম রাষ্ট্রীয় খরচে আলেম-ওলামাদের হজে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। আর এ ধারা অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
শুক্রবার দুপুরে পিরোজপুরের ছারছীনা দরবার শরীফের ১২৯তম বার্ষিক মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
তিনি বলেন, দেশের এক পঞ্চমাংশ লোক ইসলামী শিক্ষায় পড়াশোনা করেন, সে কারণে আওয়ামী লীগ সরকার কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাকে স্বীকৃতি দিয়েছে। কওমির সর্বোচ্চ শিক্ষাকে আমাদের সরকার এমএ পাসের মর্যাদা দিয়েছে; যাতে করে ওই শিক্ষায় শিক্ষিত মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরাও প্রশাসনসহ সরকারের উচ্চপদে চাকরি করার সুযোগ পায়।
গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শে তার আগের মন্ত্রিসভার দুইজন সদস্য বামপন্থী নেতা হিসেবে যাদের পরিচিতি রয়েছে তারাও হজ করে এসেছেন। প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইসলামের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন এবং বঙ্গবন্ধুর পথ অনুসরণ করে তার কন্যা শেখ হাসিনা স্পষ্ট করে বলেছেন- এ দেশে ইসলাম ও সুন্নাহ পরিপ'ন্থী কোনো আইন বাস্তবায়ন করা হবে না।
রেজাউল করিম বলেন, বঙ্গবন্ধু তাবলিগ জামাতের জন্য কাকরাইলে মসজিদ নির্মাণসহ গাজিপুরের টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমার জন্য জমি দান করেছেন। আজকে সেই ইজতেমা মাঠেই মুসলিম উম্মাহর দ্বিতীয় বৃহত্তম সমাবেশ প্রতিবছর অনুষ্ঠিত হয়।