পিরোজপুর : ৬৫ জনের কাছ থেকে নেয়া ঘুষের টাকা ফেরত দিলেন এক কর্মকর্তা। পেনশনভোগীদের কাছ থেকে নেওয়া ঘুষের সাড়ে ১১ হাজার টাকা ফেরত দিয়েছেন উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা। বুধবার দুপুরে বরিশালের বিভাগীয় হিসাব নিয়ন্ত্রকের উপস্থিতিতে কর্মকর্তা ঘুষের ওই টাকা ফেরত দেন।
স্থানীয় বাসিন্দা সূত্র জানায়, উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা উত্তম কুমার মণ্ডল জাতীয় বেতন স্কেলের বর্ধিত বেতন প্রদানের জন্য পেনশন বই সংশোধনের কথা বলে ৬৫ জন পেনশনভোগীর কাছ থেকে ১০০ টাকা করে সাড়ে ছয় হাজার এবং অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক কনক রানী হালদারের পেনশন-সংক্রান্ত কাজ করে দেওয়ার জন্য পাঁচ হাজার টাকা ঘুষ নেন।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি কাউখালী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক অর্থমন্ত্রীর বরাবর উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন। অর্থমন্ত্রী মহাহিসাব নিরীক্ষককে বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দেন।
বুধবার বরিশালের বিভাগীয় হিসাব নিয়ন্ত্রক মো. রেফায়েত উল্লাহ অভিযোগ তদন্তে আসেন। এ সময় উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা বিভাগীয় হিসাব নিয়ন্ত্রকের উপস্থিতিতে পেনশনভোগীদের কাছ থেকে নেওয়া টাকা ফেরত দেন।
কাউখালী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি সুব্রত রায় বলেন, ‘অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ায় প্রতিবাদে আমরা মানববন্ধন কর্মসূচি পালনসহ অর্থমন্ত্রীর কাছে লিখিত অভিযোগ করি।’
বরিশালের বিভাগীয় হিসাব নিয়ন্ত্রক মো. রেফায়েত উল্লাহ পেনশনভোগীদের কাছ থেকে নেওয়া টাকা ফেরত দেওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা উত্তম কুমার মণ্ডল ঘুষ নেওয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন, পেনশনভোগীদের পেনশনের টাকা তুলতে এসে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। তাঁদের বসার জন্য চেয়ার কিনতে ওই টাকা তোলা হয়েছিল।-প্রথম আলো
০৭ এপ্রিল, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪.কম/সৈকত/এমএস