সাতক্ষীরা: নববধূ ও তার পরিবারকে খুশি করতে কোটি টাকার উপহার সামগ্রী দিয়ে থাকেন স্বজনরা। উপহার সামগ্রী দিতে এক প্রকার প্রতিযোগিতায় মেতে উঠেন আত্মীয়-স্বজন। আধুনিক এ যুগে এমনটা সাধারণত দেখা গেলেও বিয়েতে গাছের চারা উপহার দেয়ার ঘটনার দেখা মেলে না।
তবে এমনই এক ব্যতিক্রমী উপহার নিয়ে রোববার দুপুরে বিয়ের দাওয়াত অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছেন গাছের পাঠশালার পরিচালক ইয়ারব হোসেন। তিনি নববধূর হাতে তুলে দিয়েছেন একটি আম গাছের চারা। নববধূ সাদরে এই উপহার গ্রহণ করলেও চমকে যান।
সাতক্ষীরা সদরের ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের তুজুলপুর গ্রামের ওয়াজেদ আলীর মেয়ে আফরোজা খাতুনের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ের আয়োজন করা হয় কলারোয়া উপজেলার জালালাবাদ ইউনয়নের নারানপুর গ্রামের বাবুর।
রোববার দুপুরে আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়েটি অনুষ্ঠিত হয়। সেখানেই নববধূকে গাছের চারা উপহার দিয়ে ব্যতিক্রমী ঘটনার জন্ম দেন ইয়ারব হোসেন।
ইয়ারব হোসেন সাতক্ষীরা সদর উপজেলার তুজুলপুর গ্রামের বাসিন্দা ও তুজুলপুর গাছের পাঠশালার পরিচালক। বৃক্ষপ্রেমী এ মানুষটি সমাজসেবক হিসেবেও পরিচিত।
নববধূকে একটি আম গাছের চারা উপহার হিসেবে তুলে দেয়ার কারণ হিসেবে ইয়ারব হোসেন বলেন, এটা শুধু একটা গাছের চারা নয়, এটা একটা ভবিষ্যত। জীবনের জন্য গাছ, জীবিকার জন্য গাছ। গাছটি নববধূ তার শশুরবাড়িতে গিয়ে রোপণ করবে। গাছটি বড় হওয়ার পর একদিকে যেমন ফল পাবে পরিবারটি, অন্যদিকে আর্থিকভাবেও লাভবান হবে।
তিনি আরও বলেন, গাছের চারাটি পেয়ে নববধূ যেমন খুশি হয়েছে তেমননি আমন্ত্রিত অতিথিরাও ব্যতিক্রমী এই উপহার দেখে খুশি হয়েছে।
নববধূর মামা রেজাউল ইসলাম বলেন, বিয়েতে বিভিন্ন ধরনের উপহার দিয়েছেন বিভিন্ন আত্মীয়-স্বজন। তবে উপহার হিসেবে গাছের চারাটি পাওয়া এটি আমাদের কাছে ব্যতিক্রমী মনে হয়েছে। সবাই খুব খুশি হয়েছেন উপহারটি পেয়ে। মেয়েটিও গাছের চারাটি তার শ্বশুরবাড়িতে নিয়ে গেছে। জাগো নিউজ