কাপাসডাঙ্গায় পুলিশ- ডাকাত বন্দুকযুদ্ধ, ডাকাত সর্দার নিহত
আব্দুর রহমান মিন্টু, সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটা থানার কাপাসডাঙ্গা এলাকায় পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে ডাকাত সর্দার আবু সাঈদ (৩৫) নিহত হয়েছে। ঘটনস্থল থেকে পুলিশ অপর ৭ ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে। তাদের কাছ থেকে বেশ কিছু অস্ত্র ও গুলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার ভোর সাড়ে ৩ টার দিকে ঘটনাটি ঘটেছে।
পাটকেলঘাটা থানার ওসি তরিকুল ইসলাম জানান, সোমবার ভোর সাড়ে ৩ টার দিকে রাত্রিকালীন পাহারাকালে গোপন সূত্রে পুলিশ জানতে পারে, একটি ডাকাতদল পাটকেলঘাটা থানার কাপাসডাঙ্গা এলাকায় সাতক্ষীরা-খুলনা মহাসড়কের উপর গাছের গুড়ি ফেলে পরিবহন ডাকাতির জন্য ওঁৎ পেতে আছে।
এ সময় পুলিশ ওই এলাকায় অভিযানে নামে। ডাকাতদল পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষন ও বোমা বিষ্ফোরণ ঘটায়। ডাকাতদের নিক্ষিপ্ত বোমার আঘাতে ২ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়। পুলিশ আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। পুলিশ ও ডাকাতদলের মধ্যে প্রায় ১৫ মিনিট বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই আন্ত:ডাকাত দলের সর্দার আবু সাঈদ নিহত হয়। সে যশোর জেলার কেশবপুর থানার আওয়ালগাতি গ্রামের মৃত এলাহী বক্য্রের ছেলে।
পুলিশ এ সময় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ৪ জনসহ ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে।
পুলিশ ডাকাতদের কাছ থেকে ১টি পাইপগান, ১টি দেশীয় তৈরী রিভলবার, ২টি বন্দুকের কার্তুজ, ৪টি বন্দুকের গুলির খোসা, ২টি বড় ধাঁরালো দা, ৪টি লোহার রড ও বিষ্ফোরিত বোমার অংশবিশেষ উদ্ধার করে।
গ্রেফতারকৃত ডাকাতরা হলেন, সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটা থানার কুমিরা গ্রামের আবুল কাশেম (৩০), তৈলকুপি গ্রামের সুমন ইসলাম (২৮) ও একই থানার নজরুল ইসলাম (৩৬), বান্দরবন জেলার লামা থানার লাহিনঝিরি গ্রামের রবিউল ইসলাম (১৮) , খুলনার কয়রা থানার ঘুগরাকাটি গ্রামের তরিকুল ইসলাম (২১), বাগালী গ্রামের আরিফুজ্জামান (৩৫) ও পটুয়াখালী জেলার বেতাগী থানার সুপখালী গ্রামের সুবেল খান (২২)।
এদের মধ্যে প্রথম ৪ জনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।
এ ঘটনায় হতাহতদেরকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক ডাকাতি মামলা রয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
১৪ ডিসেম্বর,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এইচএস/কেএস
�