সাতক্ষীরা থেকে : বাংলাদেশে স্ত্রী থাকতেও পশ্চিমবঙ্গে গিয়ে ফের বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু নাছোড় বাংলাদেশি তরুণী স্বামীকে খুঁজে বের করেই ফেললেন। শুধু সন্ধান পাওয়াই নয়, স্বামীর পশ্চিমবঙ্গের গাইঘাটার বাড়িতে এসে ঝুলিয়ে দিলেন তালা।
বুধবার দিনভর এই নিয়েই দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়াল এলাকায়। পুলিশ ওই যুবককে নিয়ে যাওয়ার সময়ে ধস্তাধস্তিতেও জড়ালেন মহিলা। অভিযোগকারিণী বাংলাদেশের নাগরিক তাহমিনা খাতুন (২৭)।
তার দাবি, স্বামী হরিচাঁদ মণ্ডলের সঙ্গে তার যোগাযোগ বহুদিনের। দুই জনেই সাতক্ষীরা জেলার বাসিন্দা। ২০১৮ সালে তাদের বিয়ে হয়। কিন্তু বিয়ের কিছুদিন পরেই হরিচাঁদ ভারতে চলে যান। অভিযোগ, গাইঘাটার মোড়লডাঙা গ্রামে এসে এখানকার ভুয়ো পরিচয়পত্রও তৈরি করে ফেলেন। এর পরেই দুইজনের মধ্যে শুরু হয় টানাপড়েন।
তাহমিনার অভিযোগ, এক সময় হরিচাঁদ তাহমিনাকে বলে পাঁচ দিনের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে ভারতে চলে আসতে। বুধবার, তাহমিনা বলেন, আমি বাংলাদেশে একটি স্কুলে চাকরি করি। পাকাপাকি ভাবে এখানে চলে আসা সম্ভব নয়। তাই আসতে পারিনি। তার অভিযোগ, এই সুযোগ নিয়েই হরিচাঁদ ভারতে ফের বিয়ে করেন।
বুধবার সেই ক্ষোভেই হরিচাঁদের মোড়লডাঙার বাড়িতে হানা দেন তাহমিনা। হরিচাঁদ যাতে পালাতে না পারেন, তা নিশ্চিত করতে বাড়ির দরজায় তালাও দিয়ে দেন তিনি। পুলিশ হরিচাঁদকে উদ্ধার করতে এলে ওই যুবতীর সঙ্গে ধ'স্তাধ'স্তি বেধে যায়। হরিচাঁদকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয় পুলিশ।
সন্দেহ দেখা দিয়েছে হরিচাঁদের নাগরিকত্ব নিয়েও। তাহমিনা অভিযোগ জানিয়েছেন, হরিচাঁদ দুই দেশের পরিচয়পত্রই ব্যবহার করে। ভারতের পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগের সত্যতা খতিয়ে দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সূত্র : আনন্দবাজার