রবিবার, ২৩ আগস্ট, ২০২০, ১১:৩৯:১৪

অল্প বয়সেই জ'রায়ু কে'টে ফেলতে বাধ্য হচ্ছেন এই এলাকার অনেক নারীই

অল্প বয়সেই জ'রায়ু কে'টে ফেলতে বাধ্য হচ্ছেন এই এলাকার অনেক নারীই

নিউজ ডেস্ক : জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে লবণাক্ততা বেড়েছে দেশের উপকূলীয় অঞ্চলে। আর মাত্রাতিরিক্ত এসব লোনা পানির দৈনন্দিন ব্যবহারের ফলে জ'রায়ু সং'ক্রান্ত বিভিন্ন রো'গে আক্রা'ন্ত হচ্ছেন এসব এলাকার নারীরা। সেজন্য অল্প বয়সেই জ'রায়ু কে'টে ফেলতে বাধ্য হচ্ছেন এই এলাকার অনেক নারীই। সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর থানার দ্বীপ ইউনিয়ন গাবুরার ৯ নম্বর সোরা গ্রামের আসমা বেগম (৩০)। সাত বছর আগে মাত্র ২৩ বছর বয়সে অপা'রেশনের মাধ্যমে জ'রায়ু কে'টে ফেলেন তিনি।

আসমা বলেন, ছোট থেকেই আমার ধাতুর (সাদাস্রা'ব) সমস্যা ছিল। বিয়ের পরে প্রথম সন্তান জন্মের পর থেকেই জ'রায়ুতে জ্বা'লা-পো'ড়া ও য'ন্ত্রণা হতো। একে একে তিন সন্তান জন্মের পর জানলাম জরায়ুতে ঘা' হয়েছে। তখন অবস্থা খুব খারাপ ছিল। পরে খুলনার এক হাসপাতালে ভর্তি হলে অপা'রেশন করে জ'রায়ু ফেলে দেন ডাক্তার।

তিনি বলেন, আমার বাবার বাড়ি ও শ্বশুরবাড়ি গাবুরা ইউনিয়নেই। ফলে জন্ম থেকেই লোনা পানির সাথে বসবাস। তবে আগের তুলনায় যেন লোনাভাব বেড়েছে। গরমকালে লোনাভাব এত বাড়ে যে, পুকুরের পানি মুখেই নিতে পারি না। অথচ তাতেই গোসলসহ সব কাজ করতে হয়।

আসমার চেয়ে কম বয়সে জ'রায়ু ফেলতে বাধ্য হয়েছেন তার প্রতিবেশী রওশন আরা পারভীন (২৭)। তার গল্পও একই রকম। প্রায় বছর চারেক আগে জ'রায়ুতে টি'উমার দেখা যায়। সে কারণে পুরো জরায়ু ফে'লে দেয়া হয় তার। জ'রায়ু অপারেশনের পর দুজনেরই স্বামী তাদের ফেলে অন্যত্র বিয়ে করেছেন।

শুধু গাবুরা নয়, উপকূলীয় উপজেলা শ্যামনগরের প্রতিটি গ্রামে জ'রায়ু সং'ক্রান্ত রো'গে ভু'গছেন এমন নারীর সন্ধান পাওয়া যাবে। পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, নারীদের জ'রায়ু সং'ক্রান্ত অসু'খের তী'ব্রতা লোনাপানিপ্রবণ গ্রামগুলোতে বেশি।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে