এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : সাতক্ষীরার শ্যামনগরে বিএনপির পৌর কাউন্সিলকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত তিনজন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (২৫ জুলাই) বিকেল ৫টার দিকে শ্যামনগর পৌর সদরের নকিপুর হরিচরণ পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন পৌর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক শেখ লিয়াকত আলী, কর্মী আনোয়ার-উস শাহাদাত (মিঠু) ও বাবু।
পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ড কমিটি গঠনের জন্য ভোট গ্রহণ চলার সময় জাল ভোট দেওয়ার অভিযোগকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেল ৪টা থেকে ওয়ার্ডগুলোর সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। একপর্যায়ে ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটার তালিকায় ১০০ জাল ভোটার অন্তর্ভুক্ত করার অভিযোগ তুলে ভোটগ্রহণ স্থগিতের দাবি জানানো হয়।
এসময় প্রতিপক্ষ, উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল ওয়াহেদ ও যুগ্ম সম্পাদক আশেক এলাহী মুন্নার সমর্থকরা সাবেক চেয়ারম্যান লিয়াকত আলীর ওপর হামলা চালান বলে অভিযোগ উঠেছে। তাকে বাঁচাতে গিয়ে আনোয়ার-উস শাহাদাত মিঠু ও বাবু হামলার শিকার হন। প্লাস্টিকের পাইপের আঘাতে মিঠুর মাথা ফেটে গেলে তাকে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে কর্মরত চিকিৎসক শাকির হোসেন জানান, মিঠুর মাথায় গুরুতর জখম রয়েছে। কয়েকটি সেলাই লেগেছে। তাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
এ বিষয়ে শেখ লিয়াকত আলী বলেন, জাল ডেলিগেট করে ভোট গ্রহণের প্রতিবাদ করায় এই হামলা হয়েছে।
তিনি এ ঘটনার জন্য কাউন্সিল পরিচালনার দায়িত্বে থাকা জেলা নেতৃবৃন্দকে দায়ী করেন। তিনি আরও অভিযোগ করেন, উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল হাই এবং সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আশেক এলাহী মুন্নার কর্মী-সমর্থকরা এই হামলা চালিয়েছেন।
ঘটনার বিষয়ে কাউন্সিল পরিচালনার দায়িত্বে থাকা সাংগঠনিক টিমের প্রধান তাসকিন আহমেদ চিশতি ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক রহমতুল্লাহ পলাশ তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত করে দেখছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষ থানায় লিখিত অভিযোগ করেনি।