শনিবার, ১৬ এপ্রিল, ২০১৬, ০৭:২৮:১৩

তালার চল্লিশা’র বিলে ধানের বাম্পার ফলন

 তালার চল্লিশা’র বিলে ধানের বাম্পার ফলন

সেলিম হায়দার, তালা প্রতিনিধি: আবহাওয়ার অনুকুল পরিবেশ ও ঘের মালিকের সহায়তায় তালার চল্লিশা’র বিলে ধানের বাম্পার ফলনেও দাম কম থাকায় রীতিমত লোকসান গুনতে হচ্ছে কৃষকদের। তবে ইজারা নিয়ে ঘের মালিকরা কথা রেখেছেন,বর্ষা মৌসুমে ক্ষেতের পানি সেচ থেকে শুরু করে তারা গ্রাম বন্যা নিয়ন্ত্রনে প্রায় ৪কিঃমিঃ বাঁধ নির্মাণ করায় জমি মালিকরা চাচ্ছেন পুনরায় বিলে মাছ চাষ করুক কৃষক দরদী ঘের মালিক মহব্বত গং।
কপোতাক্ষের নাব্যতা হ্রাসে গত কয়েক বছর বর্ষা মৌসুমে অতি বৃষ্টির পানি নিষ্কাষিত হতে না পেরে তালার চল্লিশাবিলে তৈরি হয় স্থায়ী জলাবদ্ধতার। তবে গত তিন বছরে অবস্থার সম্পূর্ণ পরিবর্তন ঘটেছে। সেখানে এখন ফলে সোনালী ধান। যশোরের কেশবপুর এলাকার জনৈক এস এম মহব্বত হোসেন ও তার লোকজন ইজারা নিয়ে চল্লিশার বিলে ঘের করায় মুলত অবস্থার এ পরিবর্তন। বিলের প্রায় সাড়ে ৮শ’একর জমির পানি সেচে দেবেন ধান উৎপাদন মৌসুমে,এমন শর্তে বিলটি ইজারা দেয়া হয় তাদের। তবে শর্তানুযায়ী তারা পানি সেচের পাশাপাশি ইতোমধ্যে বিলের প্রায় ৪ কিঃমিঃ এলাকায় গ্রাম বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ নির্মাণ করায় তাদের প্রতি এলাকাবাসীর আস্থা বেড়েছে কয়েক গুন। তারা চাচ্ছেন পুনরায় ঘের করুক মহব্বত গং। তবে তাদের সেই আশার মাঝে এখন রীতিমত উঁকি দিচ্ছে নিরাশার কালো অন্ধকার। ঘেরের নির্দিষ্ট  মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই এলাকার কিছু সুযোগ সন্ধানী চক্রের প্রত্যক্ষ হস্তক্ষেপে বিলের প্রায় ৮০ শতকরা মালিকদের বঞ্চিত করে  রাতের আঁধারে ইজারা (ডিড) দেয়া হয় মধু-মোস্তাক গংদের। এরপর বিষয়টি জমি মালিকদের গোচরিভুত হলে তারা রিতিমত ঐ তঞ্চকতা মুলক ডিড বাতিলের দাবিতে আন্দোলন সংগ্রাম শুরু করে। এনিয়ে স্থানীয় ও একাধিক জাতীয় দৈনিকে এলাকাবাসীকে প্রাধান্য দিয়ে ফলাও করে ব্যাপক ভাবে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এনিয়ে এলকাবাসীর পক্ষে মহামান্য হাইকোর্টে ডিড বাতিলের দাবিতে একটি রীট হলে আদালত আবেদনটি আমলে নিয়ে মধৃ-মোস্তাকদের ডিডের বিরুদ্ধে তিন মাসের স্থগিতাদেশ দেয়। এরপর সম্প্রতি মধু মোস্তাক গং ঐ নির্দেশনা অমান্য করে ঐ বিলটি দখল নিতে অপতৎপরতা শুরু করে। এসময় তারা সেখানে মাছের পোনা অবমুক্ত করারও অপচেষ্টা চালায়। বিষয়টি জানতে পেরে এলাকাবাসী থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এলাকাবাসীদের সাথে নিয়ে তাদের প্রতিহত করে। এমতাবস্থায় ঘেরের মুল মালিক মহব্বত হোসেন গং গত বর্ষা মৌসুমে বিলের ধান ক্ষেতের পানি ম্যাশিন লাগিয়ে সেচে দেন। শুধু এখানেই শেষ নয়,তারা এলাকায় ৪কিঃমিঃ ব্যাপী বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ নির্মাণ করায় এলাকাবাসীর নিকট আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন যে,তারাই কেবল কৃষক তথা জমি মালিকদের স্বার্থ সুরক্ষায় নিবেদিত রয়েছেন।
এদিকে ধান কর্তন শুরু হতেই  মহব্বত গং গ্রাম বাসীদের সাথে নিয়ে সম্প্রতি প্রথম দফায় এক ট্রাক মাছের পোনা অবমুক্ত করেছেন। তবে গ্রাম বাসীর শংকা কাটেনি এখনো,প্রতিপক্ষরা পরোক্ষ ভাবে হুমকি দিচ্ছেন  যে কোন সময় তারা পুনরায় ঘেরটি দখলে হামলা করতে পারেন সেখানে। আর এমনটি হলে সেখানে ঘটে যেতে পারে কোন রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ। এব্যাপারে তারা সংশ্লিষ্ট প্রশাসনেরও হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
১৬ এপ্রিল,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এইচএস/কেএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে