সাতক্ষীরা : ছেলের শোকে চোখে জল নিয়ে বাড়ি ও চাকরি ছেড়ে চলে গেলেন অর্ণবের মা। কার জন্য এখানে থাকবো, কার জন্য চাকরি করবো এমন আক্ষেপ তার।
অর্ণবের মা মেহেরুন্নেছা গণমাধ্যমকে বলেন, আমার ছেলে নিজে ৯ তারিখে না মরলেও তাকে ১০ তারিখে মার্ডার করতে ঢাকা থেকে আসতে চেয়েছিল রাহুল। বখাটেদের হাতে ছয়বার মার খাওয়ার পর অপমান সইতে না পেরে আত্মহত্যা করে মেধাবি ছাত্র অর্ণব।
ছেলের স্মৃতি ভুলে থাকতে সাতক্ষীরা শহরের রাজার বাগানের বাড়ি ছেড়ে চলে গেলেন স্বামী জিল্লুর রহমানের কর্মস্থল শ্যামনগরে।
সাদিদ ফারজিন অর্ণবের বাবা জিল্লুর রহমান শ্যামনগরে নুরনগর অগ্রণী ব্যাংক শাখায় কর্মরত আছেন। অর্ণবের মা মেহেরুন্নেছা মেরিস্টোপ সাতক্ষীরা শাখায় কর্মরত ছিলেন। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ছিলেন অর্ণব।
মেহেরুনন্নেছা বলেন, আমার বড় ছেলেকে হারিয়েছি। ছোট ছেলে আবিরকে হারাতে চাই না। রাহুলের নেতৃত্বে পাভেল, সাকিব, তানিমসহ বেশ কয়েকজন আমাদের বাড়িতে এসেছিল। আমরা বাড়িতে না থাকায় উঁকি দিয়ে চলে গেছে। আমি চাই না ছোট ছেলের কোনো ক্ষতি হোক।
অর্ণবের ছোট ভাই আবির বলে, ভাইয়া আমাকে খেয়াল রাখতো। মৃত্যুর আগের রাতেও আমাকে অনেক আদর করেছিল। আর কোনোদিন ভাইয়া আমাকে আদর করবে না। আমার সঙ্গে আর কোনোদিন ঝগড়া করবে না।
সাতক্ষীরা সদর থানা পুলিশ জানায়, অর্ণবের মৃত্যুতে কোনো মামলা হয়নি। পরিবার ময়নাতদন্তে রাজি হয়নি। মামলা হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
১৭ মে,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এমআর/এসএম