বুধবার বিকেলে সাতক্ষীরা শহরের কাটিয়া পুলিশ ফাঁড়ি এলাকার বাসা থেকে পুলিশ ওই শিশুটিকে উদ্ধার করে। পরে তাকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
নির্যাতনের শিকার বীথি ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার বড় আমিনীয়া গ্রামের গোলাম রসুলের মেয়ে।
সাতক্ষীরার সহকারী পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আনোয়ার সাঈদ গণমাধ্যমকে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়, জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. নুরুল ইসলাম ও তার স্ত্রী নাতাশা বাসার কাজের মেয়েটিকে প্রায়ই নির্যাতন করেন।
তিনি জানান, বুধবার দুপুরেও মেয়েটিকে নির্মমভাবে নির্যাতন করা হয়েছে- এমন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশের একটি দল ওই বাসায় অভিযান চালায়। বাসায় ঢুকে পুলিশ মেয়েটিকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় দেখতে পায়। মেয়েটির মাথার চুল কাটা, হাতে-পিঠে ও নিতম্বে পোড়া দাগও রয়েছে।
সদর সার্কেল আনোয়ার সাঈদ জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে যাওয়ার পর বাসার দরজা বন্ধ করে দেয়া হয়। পরে তিনি ঘটনাস্থলে পৌঁছে সাতক্ষীরা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিতাই চন্দ্র সাহাকে বিষয়টি জানান। চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ঘটনাস্থলে গেলে ঘরের দরজা খোলা হয়। এরপর ওই বাসা থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে পুলিশ।
চিকিৎসকরা জানান, শিশুটির গায়ে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তার মাথার চুলও কাটা।
চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিতাই চন্দ্র সাহা হাসপাতালে শিশুটিকে দেখতে আসেন। শিশুটি আইনি সহায়তা পাওয়ার ব্যাপারে কথা বলেন তিনি। শিশুটি আইনি সহায়তা পাক আমিও চাই।
১৯ আগস্ট,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম