সিরাজগঞ্জ : সিরাজগঞ্জের কাজীপুর উপজেলায় মা মেয়েসহ চার নারী জেএমবি সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। রবিবার রাত আড়াইটার দিকে বড়ইগ্রাম থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলো বড়াইগ্রামের আবু সাঈদের স্ত্রী ফলেরা খাতুন (৪৫), দুই মেয়ে শাকিলা খাতুন (১৮) ও সালমা খাতুন (১৬) এবং একই গ্রামের রফিকুল ইসলামের স্ত্রী রাজিয়া (৩৫)। তাদের কাছ থেকে জিহাদি বই উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিন জানান, ডিবি পুলিশের ওসি মো. ওয়াহিদুজ্জামান ও সেকেন্ড অফিসার এসআই রওশন আলীর নেতৃত্বে একদল পুলিশ রবিবার রাত আড়াইটার দিকে বড়ইতলা গ্রামের চিহ্নিত জেএমবি নেতা ফরিদুলের বাড়িতে গোপন বৈঠককালে চার নারী জেএমবি সদস্যকে আটক করে। তাদের কাছ থেকে জিহাদি বই উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ সুপার আরও জানান, তারা আত্মঘাতী জেএমবি সদস্য। জিহাদের উদ্দেশ্যে হিযরতে যাওয়ার জন্য তারা প্রস্তুত ছিল। উপরের নির্দেশ পেলেই তারা আত্মঘাতী হামলা চালাতো পুলিশের কাছে এমন তথ্য ছিল। এছাড়া সাংগঠনিক কার্জক্রম বাড়ানোর জন্য তারা ওই এলাকায় সদস্য সংগ্রহ করছিল।
এ বিষয়ে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ২৪ জুলাই সিরাজগঞ্জ শহরের মাছুমপুর এলাকার একটি বাড়ি থেকে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জেএমবির চার নারী সদস্যকে আটক করেছিল গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)
আটক জেএমবির ওিই সদস্যরা হলো- সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা উপজেলার বাদুল্যাপুরের মাহবুবুর রহমানের স্ত্রী নাদিরা তাবাসসুম রানী (৩০), বগুড়ার শাহজাহানপুর উপজেলার ক্ষুদ্র ফুলকোটের মো. খালিদ হাসানের স্ত্রী হাবিবা আক্তার মিশু (১৮), এই উপজেলার পরানবাড়িয়ার সুজন আহমেদ বিজয়ের স্ত্রী রুমানা আক্তার রুমা (২১) ও গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মোচাদহ দক্ষিণপাড়ার মামরুল ইসলাম সরদারের স্ত্রী রুনা বেগম (১৯)।
বর্তমানে তারা কারাগারে রয়েছে।পুলিশের দাবি, এই চার নারী তাদের পরিবারের সদস্য ও স্বামীর দ্বারা প্রভাবিত হয়ে জঙ্গি কর্মকাণ্ডে জড়িয়েছে।
০৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএম