সিরাজগঞ্জ : এক বিয়ে বাড়িতে গিয়ে নারী নির্যাতন মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামিকে ধরার পর এলাকাবাসী ও আসামির স্বজনদের মারপিটের শিকার হয়েছে পুলিশের সদস্যরা। সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জের হাতেম-হাসিল গ্রামে বৃহস্পতিবার রাতে এই ঘটনা ঘটে। স্বজনরা পুলিশ সদস্যদের আটকে রাখে ও আসামিকে ছিনিয়ে নেয়। পরে খবর পেয়ে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সহকর্মীদের উদ্ধার করেন।
শুক্রবার দুপুর পর্যন্তও ছিনিয়ে নেওয়া আসামিকে ফের গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এদিকে মারপিটে আহত পুলিশের উপ-পরিদর্শক সেলিম রেজা, কনস্টেবল শহিদুল ইসলাম ও রফিকুল ইসলাম এবং মামলার সাক্ষী জহুরুল ইসলাম স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন।
রায়গঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান জানান, সদর থানায় দায়ের করা নারী নির্যাতন মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত প্রধান আসামি রায়গঞ্জ উপজেলার হাতেম-হাসিল গ্রামের ইমান আলীকে গ্রেফতার করতে সদর থানার সেলিম রেজা এবং তার সঙ্গের ফোর্স ওই গ্রামের একটি বিয়ে বাড়িতে অভিযান চালান। আসামি ইমান আলীকে ধরার পর তার স্বজন ও বিয়ে বাড়ির লোকজনের তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এরপর এক পর্যায়ে তারা পুলিশের উপর চড়াও হয়ে মারপিট চালায়। চার পাঁচ পুলিশকে তারা অবরুদ্ধ করে রাখে। খবর পেয়ে রায়গঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে রায়গঞ্জ সার্কেল এএসপি ও পুলিশ সুপারকে অবগত করা হয়েছে বলেও জানান ওসি মাহবুব।
এদিকে আসামি ইমান আলীর স্বজনেরা জানান, পুলিশ উত্তেজিত হয়ে বিয়ে বাড়ির এক মহিলাকে বন্দুক দিয়ে আঘাত করলে তারা ক্ষুব্ধ হয়ে পুলিশের উপর চড়াও হন।
তবে এসআই সেলিম রেজা মহিলাকে আঘাত করার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ‘ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ঈদের ছুটিতে বাড়িতে এসেছে। বিয়ে বাড়ি থেকে আসার পথে ইমান আলীকে ধরা হয়। তাকে ছিনিয়ে নেওয়ার পর বিয়ে বাড়ির লোকজন ও স্বজনরা পুলিশের উপর আক্রমণ করে। আমরা সদর থানা থেকে বের হয়ে রায়গঞ্জ থানা পুলিশকে আগে থেকেই খবর দিয়েছি। কিন্তু রায়গঞ্জ থানা পুলিশ যথা সময়ে আসেনি। রায়গঞ্জ থানা পুলিশের গড়িমশি ও আসতে দেরি করায় এ ধরনের সমস্যা হয়েছে।’ -বাংলা ট্রিবিউন।
১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএম