সিরাজগঞ্জ থেকে: কথায় আছে শুভ কাজে দেরি করতে নেই। দেরি করলে বিপদ। তবে সত্যি বিপদ ঘটেছে বরের কপালে। আর এমন বিপদ দেখে বিয়ে আসর থেকে পাগড়ি রেখে পালিয়েছে বর! ঘটনাটি ঘটে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে।
ঘটনাটি ছিলো এমন, গেইট প্যান্ডেল, সাজসজ্জা করে চেয়ার টেবিল বসিয়ে বর ও কনে পক্ষের লোকজনের ভুড়িভোজও প্রায় শেষের দিকে বাকী শুধু কাবিননামা ও বিয়ে পড়ানো। এমন সময় হঠাৎ হাজির হন ইউএনও নাজমুল হুসেইন খান। সাথে কায়েমপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাসিবুল হক হাসান, ইউপি সদস্য আব্দুস ছাত্তার। তারা ঘটনাস্থলে পৌছামাত্রই বিয়ের আসরে পাগড়ি রেখেই বরপক্ষ পালিয়ে যায়।
মুলত এটি ছিলো একটি বাল্য বিবাহ। আর সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে গত দু‘দিনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ নাজমুল হুসেইন খানের হস্তক্ষেপে স্কুল পড়ুয়া ছাত্রীসহ ৩টি বাল্য বিবাহ পন্ড হয়েছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কায়েমপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের মুরুটিয়া গ্রামের ছানোয়ার হোসেনের মেয়ে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া সোনিয়া খাতুন (১৩) এর সাথে একই ইউনিয়নের চিনাধুড়িয়া গ্রামের আব্দুল মজিদের পুত্র মোঃ মামুন হোসেনের সাথে বিয়ের দিন ধার্য হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উভয় পক্ষেরই সকল প্রকার আয়োজনও সম্পন্ন হয়। গেইট প্যান্ডেল, সাজসজ্জা করে চেয়ার টেবিল বসিয়ে বর ও কনে পক্ষের লোকজনের ভুড়িভোজও প্রায় শেষের দিকে বাকী শুধু কাবিননামা ও বিয়ে পড়ানো। এমন সময় হঠাৎ হাজির হন ইউএনও নাজমুল হুসেইন খান। সাথে কায়েমপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাসিবুল হক হাসান, ইউপি সদস্য আব্দুস ছাত্তার। তারা ঘটনাস্থলে পৌছামাত্রই বিয়ের আসরে পাগড়ি রেখেই বরপক্ষ পালিয়ে যায়।
বিষয়টি নিয়ে শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ নাজমুল হুসেইন খান জানান, বাল্য বিয়ের বিরুদ্ধে উপজেলা প্রশাসন সবসময় সজাগ রয়েছে।এর আগের দিন অর্থ্যাৎ বুধবার বেলতৈল ও কায়েমপুর ইউনিয়নে আরো ২টি বাল্য বিবাহ বন্ধ করেন ইউএনও নাজমুল।
এমটিনিউজ২৪.কম/এম/আই