সিরাজগঞ্জ: মু'ক্তিপণ না দেওয়ায় মিঠু নামে এক কলেজছাত্রকে পি'টিয়ে হ'ত্যা করেছে অ'পহ'রণকা'রীরা। নরসিংদীর মনোহরদীতে একটি বাড়ির খড়ের পাড়ার নিচ থেকে নিহ'তের পরিচয় নিশ্চিতের পর এমন কথা জানিয়েছেন নিহ'তের বড় বোন।
নিহ'ত মিঠু হোসেন (২৪) সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার রায়পুর এলাকার মৃ'ত মোসলেম উদ্দিনের ছেলে। তিনি সিরাজগঞ্জের একটি ইসলামিয়া ডিগ্রি কলেজের বিএ প্রথম বর্ষে পড়াশোনার পাশাপাশি অনলাইনে শাড়ির ব্যবসা করতেন।
পুলিশ জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে মনোহরদীর একদুয়ারিয়া ইউনিয়নের হুগলিয়া পাড়া গ্রামের রূপচাঁন মিয়ার বাড়ির খড়ের পাড়ার নিচে মিঠুর লা'শ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় লোকজন। পরে পুলিশকে খবর দেয়া হয়। পুলিশ নিহ'তের লাশ উ'দ্ধার করে। পরে গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর দেখে রাতেই সিরাজগঞ্জ থেকে মিঠু হোসেনের পরিবারের সদস্যরা মনোহরদী থানায় আসেন।
রাত ১২টার দিকে পুলিশের কাছে থাকা ছবি দেখে লা'শ শ'না'ক্ত করেন মিঠুর বড় বোন মিনু আক্তার। অ'পহ'রণের পর নি'র্যা'তন করে হ'ত্যার অভিযোগে ওই রাতেই অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা করেন মিনু আক্তার।
নিহ'তের স্বজনরা জানিয়েছেন, নিহত মিঠু বিভিন্ন হাট থেকে শাড়ি সংগ্রহ করে অনলাইনে বিক্রি করলেও নরসিংদীর বাবুরহাটের কাপড় বিক্রির ইচ্ছা ছিল তাঁর। এই জন্য গত বুধবার সকালে সিরাজগঞ্জ থেকে নরসিংদীর উদ্দেশে রওনা হন। ঢাকায় পৌঁছার পর তিনি এক আত্মীয়ের বাড়িতে দুপুরের খাবার খান। পরে সন্ধ্যা ৬টার দিকে নরসিংদী পৌঁছে পরিবারের সদস্যদের কাছে ফোন করে পৌঁছানোর খবর জানান। তবে নরসিংদীতে কাদের কাছে তিনি গিয়েছিলেন, তা কেউ জানেন না। বাবার মৃত্যুর পর থেকে পড়াশোনার পাশাপাশি অনলাইনে শাড়ির ব্যবসা করে সংসার চালাতেন মিঠু। তিনি বাবুরহাটের শাড়ি সম্পর্কে ধারণা নিতে প্রথমবারের মতো নরসিংদীতে আসে। ফেসবুকে পরিচয় হওয়া দুই বন্ধুর ভরসায় নরসিংদীতে আসার পর অপহরণের শি'কার হন তিনি।
মামলার বাদী ও মিঠুর বড় বোন মিনু আক্তার বলেন, বুধবার রাত ৮টার দিকে মিঠু ফোন করে জানায় তাকে আ'টকে রেখে মা'রধ'র করছে অ'পহর'ণকারীরা। তার বিকাশ নম্বরে দ্রুত এক লাখ টাকা পাঠানোর কথা বলেন। নইলে ‘তারা আমাকে মে'রে ফেলবে’ বলে হু'মকি দিচ্ছে। তখন অপ'হর'ণকারী ফোনে আমাকে জানায়, এখন যদি এক লাখ টাকা পাঠান, তাহলে আপনার ভাইকে ছে'ড়ে দেব। নইলে মে'রে ফ'ল'বো।
মিনু আক্তার আরও বলেন, রাত ১২টার দিকে মিঠুর সঙ্গে যখন শেষ কথা হয়, তখন সে বলছিল, ‘আপু, তোরা বোধ হয় আমাকে আর বাঁচাতে পারলি না’। আমার শেষ ইচ্ছা, মায়ের সঙ্গে একটু কথা বলিয়ে দে। মায়ের সঙ্গে মিঠু কথা বলার পর থেকেই সারা রাত তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যাচ্ছিল। এরপরই সিরাজগঞ্জ সদর থানায় গিয়ে এ বিষয়ে সাধারণ ডায়েরি করি আমরা। এরপর আমরা গণমাধ্যমের মাধ্যমে তার মৃত্যুর সংবাদ পাই। পরে মনোহরদী থানায় এসে তা নিশ্চিত হই। আমি আমার ভাই হত্যার বিচার চাই। বিডি প্রতিদিন