এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার রতনকান্দি ইউনিয়নের চারটি গ্রামে আকস্মিক ও তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে কয়েকশত ঘরবাড়ি ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মাত্র পাঁচ মিনিটের ঝড়ে উড়ে গেছে মানুষের মাথা গোজার ঠাঁই, ছিটকে ছিটকে ছড়িয়ে পড়েছে ঘরের চাল। বৃষ্টি আর কালো মেঘের সঙ্গে তীব্র বাতাসে নিমিষেই ভেঙে পড়ে এসব ঘরবাড়ি।
রাতদিনের আশ্রয়ভিত্তি এসব ঘরবাড়ি হারিয়ে হাজারো মানুষ এখন খোলা আকাশের নিচে দুর্ভোগে দিন কাটাচ্ছেন। বড় বড় গাছপালা ভেঙে রাস্তা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন। পাশাপাশি বৈদ্যুতিক সংযোগও বন্ধ রয়েছে। নদী ভাঙনে পূর্বে থেকেই সর্বহারা এসব মানুষের শেষ সম্বল ছিল এই ঘরবাড়ি।
ক্ষতিগ্রস্তরা জানান, মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) দুপুরে শুরু হওয়া হালকা বৃষ্টির মধ্যে হঠাৎ কালো ঘূর্ণায়মান মেঘ এসে আঘাত হানে তাদের এলাকায়। প্রচণ্ড বেগে বাতাসে ঘর চাল উড়ে যায় দূরে কোথাও। পাড়া-মহল্লায় দারুণ আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
ঘূর্ণিঝড়ে শুধু ঘরবাড়িই নয়, রতনকান্দির চরচিলগাছা, চিলগাছা, বাহুকা ও ইটালী গ্রামের ফসলী জমি ও গাছপালাও ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বিকেলে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, 'ঘূর্ণিঝড়ের ফলে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য প্রাথমিকভাবে শুকনা খাবার বিতরণ করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করে সরকারিভাবে সব ধরনের সহযোগিতা দেয়া হবে।'
অন্যদিকে ক্ষতিগ্রস্তরা নতুন করে ঘর নির্মাণে দ্রুত সরকারি সহযোগিতা চান। কারণ, বর্তমানে তারা মাথা গোঁজার ঠাঁই না পেয়ে দুর্ভোগে দিন কাটাচ্ছেন।
উপজেলা প্রশাসন জানিয়েছে, তালিকা তৈরি শেষে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য বিভিন্ন প্রকার সহায়তার ব্যবস্থা করা হবে।