শনিবার, ২৩ জুলাই, ২০১৬, ১১:৩৫:১২

প্রেমিকার চোখে জল, চাকরি বাঁচাতে মন গললো নিষ্ঠুর প্রেমিকের

প্রেমিকার চোখে জল, চাকরি বাঁচাতে মন গললো নিষ্ঠুর প্রেমিকের

সিরাজগঞ্জ : প্রেমিকের জন্য প্রেমিকার চোখে জল।  কাঁদে মনটা।  চাকরি বাঁচাতে মন গললো নিষ্ঠুর প্রেমিকের।  অনার্স পড়ুয়া আছিয়াকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বাড়িতে ডেকে এনে উধাও হয়ে যান বিমানবাহিনীতে কর্মরত প্রেমিক রাশেদুল ইসলাম।

বিষয়টি বিমানবাহিনীর কিছু কর্মকর্তার নজরে এলে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হয়।  এতে রাশেদুল লজ্জিত হোন।

অথচ ঘটনার পর গ্রামের মুরুব্বিরা রাশেদুলকে শতবার ফোন করেও সাড়া পাননি।  শনিবার আবার মুরুব্বিরা ফোন করলে রাশেদুল রিসিভ করেন। আছিয়ার বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে আগ্রহ দেখান।

তবে অফিসের অনেকেই জেনে যাওয়ায় বিষয়টি নিয়ে ভাবেন রাশেদুল।  চাকরি নিয়ে সমস্যা হবে জেনেই তাতে সম্মতি দেন তিনি।

এরই মধ্যে সিরাজগঞ্জ সদর থানায় রাশেদুলের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতনে মামলা দায়ের করেছে ভুক্তভোগী আছিয়ার পরিবার।

এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গ্রামের মুরুব্বিরা সালিশ করে একটি সালিশনামা দিয়েছে আছিয়ার পরিবারকে। তাতে সর্বসম্মতিক্রমে রাশেদুলকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।  আছিয়ার পরিবার চাইলে এ বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ নিতে পারবেন।

রাশেদুল ও আছিয়া সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার সায়দাবাদ ইউনিয়নের কড্ডার মোড় এলাকার বাসিন্দা।  রাশেদুল বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর ঢাকা কুর্মিটোলা এলআ সি ৪০ এ কর্মরত।

সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজের পদার্থ বিজ্ঞান বিষয়ে অনার্স তৃতীয়বর্ষের ছাত্রী আছিয়া খাতুনের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে প্রেমিক সেজে রাশেদুল মেলামেশা করতো।  এ অভিযোগ এলাকাবাসীর।

জানা যায়, গত ১০ জুলাই কড্ডার মোড় নিজবাড়িতে আব্দুল আজিজের কলেজ পড়ুয়া মেয়ে আছিয়া খাতুনকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে ডেকে আনেন রাশেদুল।  

দু’জনকে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখেন স্থানীয়রা।  তখন তাদের প্রেমকাহিনীও প্রকাশ পায়। বিষয়টি নিয়ে মাতবররা উভয় পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন।  

কিন্তু রাশেদুলের পরিবার ছেলের প্রেমকাহিনী অস্বীকার করলে বেঁকে বসে আছিয়া।  বিষয়টি মীমাংসার উদ্যোগ নেন গ্রামের মাতবররা।

আছিয়া বলেন, আমার কাছে বেশকিছু প্রমাণ আছে। ভিডিও কলসহ বিভিন্ন সময়ে মোবাইলে কথা বলার রেকর্ডিং ও ছবি আছে।

আছিয়ার চাচা আব্দুর রাজ্জাক জানান, বিষয়টি সম্পর্কে সবাই ভালোভাবে জানে যে, রাশেদুল প্রেমের প্রতারণায় ধরা পড়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে অবস্থান করছে।  সরকারি চাকরি করে এ ধরনের ঘটনা নজিরবিহীন।  

তিনি জানান, বিষয়টি মীমাংসার জন্য রাশেদুলের পরিবারের পক্ষ হয়ে কোনো একটি মহল ৫ লাখ টাকা দেয়ার কথা মোবাইলে জানান।  

আব্দুর রাজ্জাক জানান, আমি টাকা নেয়ার কথায় পাত্তা দেয়নি। বিষয়টি প্রশাসনসহ বিভিন্ন মহলের কাছে সুষ্ঠু তদন্ত ও সমাধানের দাবি জানাচ্ছি।  এ ব্যাপারে সিরাজগঞ্জ সদর থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি।  
২৩ জুলাই,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এমআর/এসএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে