বৃহস্পতিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ০৯:৪৪:০৫

বৌ-ভাতে পুলিশ, ‘আমাদের জেলে নিলেই কি’!

বৌ-ভাতে পুলিশ, ‘আমাদের জেলে নিলেই কি’!

সুনামগঞ্জ : ভুয়া তথ্যের ভিত্তিতে বৌ-ভাতে জনতার তোপের মুখে পুলিশ।  বরের মামা ও বরের শ্বশুরকে হাতকড়া পরানোয় অতিথি ও এলাকার জনতা ধাওয়া করে পুলিশকে।  পরে অবশ্য ভুল বোঝাবুঝির অবসান হয়।  ঘটনাটি ঘটেছে সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে।
 
বৃহস্পতিবার বিকেল পৌনে ৪টার দিকে উপজেলার শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী চারাগাঁও এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
 
স্থানীয় এলাকাবাসী ও পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নের কলাগাঁও মাইজহাঁটির আক্তার হোসেনের মেয়ের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী চারাগাঁও গ্রামের মৃত আরজু মিয়ার ছেলে রুহুল আমিনের বিয়ে হয় বুধবার।
 
বর-কনে উভয়ের জন্মনিবন্ধন ও নাগরিকত্বের সনদ দেখেই কাজী বিয়ে পড়ান।  কিন্তু বাল্যবিয়ে হচ্ছে মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে ওই বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ।
 
বৃহস্পতিবার পৌনে ৪টার দিকে তাহিরপুর থানার টেকেরঘাট পুলিশ ফাঁড়ির এসএসআই তপন কুমার দাস বৌ-ভাত অনুষ্ঠানে যায়।  

এ সময় বরের মামা নুরুল ইসলাম (৫৫) ও বরের শ্বশুর আক্তার হোসেনকে (৫২) হাতকড়া পরিয়ে থানায় নিয়ে আসতে চাইলে অতিথি ও এলাকার জনতা পুলিশকে ধাওয়া করে।
 
একপর্যায়ে পুলিশ একটি ঘরে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়। পরে জনতার চাপের মুখে হাতকড়া খুলে দিতে বাধ্য হয় পুলিশ।
 
বরের মামা নুরুল ইসলাম বলেন, আমরা গরিব মানুষ।  আমাদের হাতকড়া পরালেই কী! আর জেলে নিলেই কি! একটি আনন্দময় বৌ-ভাত অনুষ্ঠানে সবার সামনে আমাদের হাতকড়া পরালো।  এত বড় অপমান আমরা জীবনে কোনোদিন হইনি।  যাক দেখার তো কেউ নেই, আছেন একমাত্র আল্লাহ!
 
এ ব্যাপারে টেকেরঘাট পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ জানায়, বর ও কনের জন্ম নিবন্ধনের কাগজপত্র দেখতে গিয়ে কিছুটা দম্ভোক্তি দেখালে হাতকড়া পরাতে বাধ্য হই। আসলে এটি ছিল ভুল তথ্য।  পরবর্তীতে ভুল বোঝাবুঝির অবসান হয়েছে।
 
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ খসরুল আলম খসরু বলেন, ঘটনাটি দুঃখজনক।  বর-কনে উভয়ের জন্মনিবন্ধন ও নাগরিকত্ব সনদ সঠিক আছে।  বিষয়টি নিষ্পক্তি করা হয়েছে।
২৯ সেপ্টেম্বর,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এমআর/এসএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে